East Bengal: সই পরে, আগে মেটাতে হবে প্রায় দেড় কোটি

ট্রান্সফার ব্যানের (East Bengal) আশঙ্কা এখনও রয়েছে। দলের প্রাক্তন ফুটবলারদের বকেয়া না মেটালে হতে পারে ট্রান্সফার ব্যান। ইচ্ছা থাকলেও কোনো ফুটবলারকে দলে নিতে পারবেন না কর্তারা। 

Advertisements

মরশুম শেষ হওয়ার আগেই দলবদলের বাজারে ছোটাছুটি করতে শুরু করেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। বেশ কিছু ফুটবলারের সঙ্গে কথা এগিয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। কোচ বাছাইয়ের খসড়া তালিকা প্রস্তুত এমনটাও শোনা গিয়েছে এর আগে। আসন্ন মরশুমে ভালো দল তথা ভালো ফুটবলের আশায় বুক বাঁধতে পারেন সমর্থকরা। কিন্তু দল গঠনের আগে রয়েছে কিছু বাধা বা হার্ডল। 

হার্ডলের মধ্যে একটি স্পোর্টিং রাইট। দ্বিতীয়টি বকেয়া বেতন। এ বছর ১০ ফেব্রুয়ারির খবর, লাল-হলুদ তাঁবুতে নতুন একটি চিঠি। প্রেরক সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া সাতজন ফুটবলারের বেতন বকেয়া রয়েছে। না মেটালে হতে পারে ট্রান্সফার ব্যান। বকেয়া বেতন ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। টাকা না মেটালে পরের তিন ট্রান্সফার উইন্ডোতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে ক্লাবকে। 

Advertisements

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই টাকা কে মেটাবে? শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে এপ্রিলেই পথ চলা শেষ হচ্ছে এমনটা অনেকেই মনে করছেন। কেভিন লোবো, রিনো অ্যান্টো, সিকে বিনীত, ইউজিনসেন লিংডো, গিরিক খোসলা, কিগান পেরেরা এবং অনিল চৌহানকে মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা বেতন বকেয়া রয়েছে। তাঁরা ২০২০ সালে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলেন। শ্রী সিমেন্ট দায়িত্ব নিয়েছিল সেপ্টেম্বরে।

বিচ্ছেদগামী কোনো সংস্থা দেড় কোটি টাকার সাহায্য করবে কি না সে ব্যাপারে সংশয় থাকবেই। ময়দানের বিশেষজ্ঞরা ধরেই নিয়েছেন শ্রী সিমেন্ট এই বকেয়ার দায়ভার কোনোভাবেই নেবে না। ফলত ট্রান্সফার ব্যান আটকানোর জন্য কোমড় বাঁধতে হবে ক্লাব কর্তাদের। নতুন ইনভেস্টর আসতে পারে এমন কানাঘুষো রয়েছে। জল্পনা সত্যি হলে কোন কোম্পানি এসে ক্লাবের হাল ধরবে, কে ব্যান রুখবে ইত্যাদি বহু প্রশ্ন শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবকে কেন্দ্র করে।