East Bengal goalkeeper: ডার্বি ম্যাচের পর ‘বিস্ফোরক’ আদিত্য, কী বলছেন ম্যাচের নায়ক?

বিগত বেশকিছু মরশুম ধরেই ডার্বিতে নাস্তানাবুদ হয়ে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal)। আইএসএলে আসার পর থেকেই এটিকে মোহনবাগানকে আর আটকাতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির

Aditya Patra, goalkeeper for East Bengal, in action during a match

বিগত বেশকিছু মরশুম ধরেই ডার্বিতে নাস্তানাবুদ হয়ে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal)। আইএসএলে আসার পর থেকেই এটিকে মোহনবাগানকে আর আটকাতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির। রয়কৃষ্ণা থেকে শুরু করে মনবীর-কিয়ানদের দাপটের সামনে কার্যত মাথা নোয়াতে হয়েছে তাদের। চলতি বছরের আইএসএলে ও দুটি লেগে প্রতিপক্ষের কাছে হার মেনেছে লাল-হলুদ। তবে শুধু ফুটবলই নয়, হকিতে ও সবুজ-মেরুনের সামনে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছিল তাদের। সেইসব মাথায় রেখেই আজ মোহনবাগান কে যোগ্য জবাব দিতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল জুনিয়রের ছেলেরা।

সেইমতো আজ শুরু থেকেই নিজেদের দাপট বজায় রেখেছিল দুই শিবির। তবে প্রথমার্ধে সেরকম সুযোগ না আসলেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। যা দেখে রীতিমতো আপ্লুত হতে থাকে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। খুব সহজ ভঙ্গিমায় দলের সাক্ষাৎ পতন রোধ করেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র। এক কথায় তিনিই আজ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নয়নের মনি। দলে প্রথমবার সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি।

ম্যাচের শেষে সাংবাদিকদের তরফে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আদিত্য বলেন, আজকের ম্যাচ নিয়ে আমি খুবই খুশি। এই ক্লাবের হয়ে প্রথম ডার্বি খেলেছি। দলকে সাহায্য করেছি। একজন বাঙালি ছেলের কাছে ডার্বি বিরাট বড়ো বিষয়। আমি আমার কাজ করেছি। পাশাপাশি আজ আদিত্যর প্রশংসা করেন প্রতিপক্ষের সঞ্জয় সেন। তিনি বলেন, গোলকিপার রা সব সময় গোল খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে না। সেভ ও করে। আদিত্য সেটাই করেছে। যথেষ্ট প্রতিভাবান ছেলে। উল্লেখ্য,গত সুরুচি ম্যাচেই রেড কার্ড দেখেছিলেন এই গোলরক্ষক। আজ ফিরে এসেই নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন সকলকে।