স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এখন অতীত। তার বদলে আসন্ন দুই বছরের জন্য ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ফুটবলের দুনিয়ার অতিপরিচিত মুখ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে। একটা সময় এই কোচের হাত ধরেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জিন্দালের বেঙ্গালুরু।
সেইসাথে তাদের ফেডারেশন কাপ জেতানোর ক্ষেত্রে বড়বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। পূর্বে ডেনমার্কের প্রথম ডিভিশনের একটি ক্লাবের সহকারী হিসেবে থাকলেও পরবর্তী দুটো বছর এই কোচের উপরেই ভরসা রাখছে লাল-হলুদ শিবির। সেইমতো আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে শহরে আসতে পারেন কুয়াদ্রাত।
শুধু কোচ চূড়ান্ত করাই নয়, আগামী মরশুমের কথা মাথায় রেখে দল গঠনের কাজ ও শুরু করে দিয়েছে ইমামি ম্যানেজমেন্ট। বিদেশি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় নেওয়া হলেও দেশীয় ব্রিগেড কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নন্দকুমার ও হরমনজোত সিং খাবরা সহ একাধিক তারকার সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় পাকা করে ফেলেছে লাল-হলুদ শিবির। বর্তমানে শোনা যাচ্ছে,দেশীয় ব্রিগেড কে শক্তিশালী করতে কেরালা ব্লাস্টার্সের তারকা ফুটবলার নিশু কুমার কে ও নাকি দলে টানতে চায় কলকাতার এই প্রধান।
তবে এবার বিদেশি ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে সবুজ-মেরুনের তারকা ফুটবলারের দিকে নজর দিয়েছে পড়শি ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। পূর্বে দলের ডিফেন্স সামলানোর জন্য মুম্বাই সিটির প্রাক্তন অধিনায়ক মুর্তাজা ফলের নাম শোনা গেলেও তাকে পেতে নাকি যথেষ্ট কাটখর পোড়াতে হবে দলকে। সেইজন্য বাগান ডিফেন্ডার স্লাভকো ডামজানোভিচ কে দলে সই করাতে চায় ইস্টবেঙ্গল। তবে সবুজ-মেরুনের তরফে তাকে ছাড়ার কোনো ঘোষণা না করা হলেও দিনকয়েক আগে তার ইন্সটা পোস্ট নিয়ে দেখা দিয়েছিল জল্পনা।
সেখানে দলের সতীর্থ থেকে শুরু করে কোচ ও অন্যান্য মেম্বারদের কে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বাগান সমর্থকদের মতে প্রথম মরশুমের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই তারকা। এর সাথে দল ছাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এবার উঠে এলো এক নয়া তথ্য। শোনা যাচ্ছে, বিগত কয়েক দিন ধরেই নাকি স্লাভকোর এজেন্টের সাথে কথাবার্তা চালাচ্ছে লাল-হলুদ শিবির। এবং কথাবার্তা নাকি অনেকটাই ইতিবাচক। তাই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেরেন্দোর বাগান থেকে স্লাভকো কে নিজেদের দলে টানতেই পারে মশাল ব্রিগেড।