Nandakumar Sekhar: নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে মুখ খুললেন নন্দকুমার, কী বলছেন এই তারকা?

গত বেশকয়েক মরশুম থেকেই ভারতীয় ফুটবলে যথেষ্ট পরিচিত হয়ে উঠেছেন নন্দকুমার শেখর (Nandakumar Sekhar)। বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে ওডিশা এফসির মতো দল থেকেই নিজের…

Nandakumar Sekhar, Victor Vazquez

গত বেশকয়েক মরশুম থেকেই ভারতীয় ফুটবলে যথেষ্ট পরিচিত হয়ে উঠেছেন নন্দকুমার শেখর (Nandakumar Sekhar)। বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে ওডিশা এফসির মতো দল থেকেই নিজের জাত চেনাতে শুরু করেছিলেন এই ফুটবলার। সেই সুবাদে গত মরশুমে বেশকিছু গোল পায় জগন্নাথের রাজ্যের এই ফুটবল ক্লাব। আইএসএলে খুব একটা সুবিধা করা তার পক্ষে সম্ভব না হলেও সেবার হিরো সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওডিশা এফসি।

তবে নতুন মরশুমেই দল বদল করেন এই তারকা।‌ যোগদান করেন কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবে। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল দলের সমর্থকদের। বলাবাহুল্য, লাল-হলুদে যোগদান করার পর তার করা একমাত্র গোলেই এই মরশুমের প্রথম ডার্বি জয় করে ইস্টবেঙ্গল।

তবে ডুরান্ড কাপ ঘরে না এলেও তাদের পারফরম্যান্স ছিল যথেষ্ট প্রশংসনীয়। পরবর্তীতে কলিঙ্গ সুপার কাপের ডার্বিতে ও গোল পান এই ফুটবলার। এমনকি সার্জিও লোবেরার শক্তিশালী ওডিশা এফসির বিপক্ষে ও দলকে সমতায় ফেরানোর ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই ভারতীয় উইঙ্গারের। তবে শুধু ক্লাব ফুটবল নয়। দেশের জার্সিতে ও যথেষ্ট সফল থেকেছেন তিনি। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্ষেত্রে ও ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন এই ফুটবলার। তবে এবার লাল-হলুদের মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। মূলত একটি বস্তি থেকে কিভাবে তুলে ধরেছেন নিজেকে সেটাই উঠে এসেছে এবার।

নন্দকুমার বলেন, আমার মা-বাবা তখনও জানতেন না যে ফুটবল একটা পেশা হতে পারে। একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় আমি সেটা জানতে পারি। যে ফুটবল খেললে নাকি রাজ্যস্তরের তরফ থেকে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। যার সাহায্যে স্কলারশিপ ও পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আমি সমস্ত কিছু বাড়ির সকলকে বোঝাই।

আসলে, আমাদের পরিবারে সবাই চাকরি খুঁজতো। যাতে মাসের শেষে মাইনে পেয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়। তবে বলতে গেলে, আমি আমাদের পরিবারের প্রথম ফুটবলার। বস্তিতে ফুটবল খেলতে খেলতেই একটা সময় উঠে আসা। সেখান থেকেই পরবর্তীতে বেশকিছু ক্লাব হয়ে আইএসএলে আসা। তারপর এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গল। প্রায় চার বছর পর ডার্বি ম্যাচ জেতে আমাদের দল। স্বাভাবিকভাবেই সবাই যথেষ্ট মুখিয়ে ছিল। আমার কাছে ও এটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ন মুহূর্ত ছিল।

আসলে বস্তি থেকে বড় হওয়া আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে। এখন আমাদের ওখানকার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেরাও বুঝতে পারে যে ভালো ফুটবল খেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব। ওদের অনুপ্রাণিত করতে পেরে আমি খুশি। আমি যেখানেই খেলি, ওরা টিভিতে আমার খেলা দেখে। আমার জন্য চিৎকার করে। ওরা সকলেই আমার অনুপ্রেরণা।