মুম্বই ম্যাচের পূর্বে মশাল বাহিনী কার্যত নার্সিংহোম, রইল সম্ভাব্য একাদশ

ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) দুঃসময় কাটছেই না। চোটের ঘূর্ণিপাকে বারবার পড়ে দল শেষ পর্যন্ত কোনোমতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে জয় লাভের পর।…

East Bengal FC Midfielder Madih Talal Ruled Out for the Rest of ISL Season Due to Injur

ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) দুঃসময় কাটছেই না। চোটের ঘূর্ণিপাকে বারবার পড়ে দল শেষ পর্যন্ত কোনোমতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে জয় লাভের পর। কিন্তু, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আশা যে, আইএসএল (ISL) এবার নতুন উদ্যমে মুম্বই সিটি এফসির (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে মাঠে নামবে লাল হলুদ। তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে আবারও বড় ধাক্কা দিল দলের একাধিক খেলোয়াড়ের চোট। একের পর এক চোটে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন কোচ অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon) এবং তার শিষ্যরা।

   

লাল-হলুদ শিবির চোট সমস্যা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। এই বছরের শুরুতেই দলের বড় কিছু খেলোয়াড়রা চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান, যার ফলে কোচ অস্কার ব্রুজো এবং দল কঠিন সময়ের মধ্যে পড়ে। একদিকে যেমন আনোয়ার আলির চোট কাটছিল না, তেমনি অনেক খেলোয়াড়ই মাঠে নামতে পারছিলেন না। তবুও, কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় এসে আশার আলো দেখিয়েছিল। প্লে-অফের আশায় বুক বাঁধছিল মশাল ব্রিগেড। কিন্তু, এখন আবার ভেঙে পড়ে গেল দল।

হিজাজির চোট: বড় ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের

গত মঙ্গলবার, দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের ডান হাঁটুর গুরুতর চোট পেয়েছেন। এই চোট এতটাই মারাত্মক যে, সাপোর্ট স্টাফের সাহায্যে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। তার চোটের পর থেকে কোচ অস্কারের মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। অনুশীলন শেষে তিনি জানান, ‘‘এখন আমি জানি না আমাদের দলের অবস্থা কোথায় যাচ্ছে। অনেকদিন ধরে চোটের কারণে আমরা হোঁচট খেয়েছি, এখন আর কিছু বলার নেই।’’
হিজাজির চোটের প্রভাব পড়েছে দলের রক্ষণ ব্যবস্থায়। তাঁর অভাব যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই চোটের পর হিজাজির খেলা নিশ্চিত নয় এবং আগামী কিছু ম্যাচে তাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে।

ক্লেন্টনের চোট: আরও এক ধাক্কা

এদিকে, কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামতে চাইছিল, সেখানে আবার এসেছে আরও এক বড় ধাক্কা। দলের অপর গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাইকার ক্লেন্টন সিলভার চোট। মুম্বই ম্যাচের আগে ক্লেন্টনের চোটের খবর একেবারে হতাশাজনক। স্ক্যান রিপোর্ট অনুযায়ী, তার চোটও গুরুতর। ইতিমধ্যেই ক্লেন্টন মাঠে না থাকায় ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের শক্তি অনেকটাই কমে গেছে। তার শারীরিক অবস্থা যে এতটাই খারাপ, তাতে পুরো আসন্ন মরসুমে খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এছাড়াও, অন্যান্য চোট পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকায় রয়েছেন মার্ক জথানপুইয়া, নিশু কুমার, প্রভাত লাকরা, দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস, সাউল ক্রেসপো, হেক্টর ইউস্তে, মাদিহ তালাল, মহম্মদ রাকিপ, তন্ময় দাস প্রমুখ। একাধিক খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি ইস্টবেঙ্গলের লাইনআপে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করেছে।

মুম্বই এফসির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য একাদশ

এই পরিস্থিতির মধ্যে কোচ অস্কারকে নতুন একাদশ সাজাতে হচ্ছে, যেখানে বেশ কিছু নতুন মুখও দেখা যেতে পারে। সম্ভবত, গোলকিপার হিসেবে থাকবেন প্রভসুখন গিল। রক্ষণভাগে দেখা যেতে পারে পিভি বিষ্ণু, জিকসন সিং এবং ডেভিড লাললানসাঙ্গাকে। মিডফিল্ডে সৌভিক চক্রবর্তী, নাওরেম মহেশ সিং, রিচার্ড সেলিস এবং নন্দ কুমার খেলতে পারেন। আক্রমণভাগে সায়ন ব্যানার্জী এবং শ্যামল বেসরা সুযোগ পেতে পারেন। আপাতত, অস্কার ব্রুজো চোটগ্রস্ত দলে থাকা খেলোয়াড়দের পরিবর্তে নতুন মুখ আনতে পারেন। তবে, কোনো সন্দেহ নেই যে, চোটগ্রস্তদের অভাব ইস্টবেঙ্গলের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।