East Bengal FC: পিতৃশোক বুকে চেপেই ইমামির সঙ্গে বৈঠকে হাজি লাল-হলুদ কর্তা

202
East-Bengal-FC East bengla club house

চলতি ফুটবল মরশুমে ও কার্যত ছন্দ হারা লাল-হলুদ (East Bengal FC) শিবির। এবারের আইএসএলে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স দেখার পর থেকেই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। আগামী মরশুমে ভালো দল গড়ার লক্ষ্যে তাই এখন থেকেই নতুন করে দল গঠনের কাজে হাত দিতে মরিয়া সকলে। সেইমতো গত ২৩ তারিখ থেকেই তাদের লগ্নিকারী সংস্থা ইমামির সঙ্গে বৈঠক শুরু করে ক্লাব কর্তারা।

তারপর ফের ২৫ তারিখ লাল-হলুদ তাঁবুতে বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। কিন্তু মেলেনা কোনো সমাধান সূত্র। যারফলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমামি অফিসে ফের ডাকা হয় বৈঠক। তাতে ও নাকি বদলায়নি পরিস্থিতি। তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী পনেরো দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে আগামী মরশুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচের নাম। এই নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে নেট মাধ্যমে একাধিক হাইপ্রোফাইল নাম ভেসে এলেও ক্লাবের তরফ থেকে কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।

তবে এতো কিছুর মধ্যে পিতৃশোক বুকে নিয়ে লাল-হলুদের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সচিব সৈকত গাঙ্গুলি। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। গত সোমবার বাবা কে হারিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলী। যারফলে স্বাভাবিক ভাবেই ধরা হয়েছিল মঙ্গলবারের মিটিংয়ে হয়ত আসবেন না তিনি। কিন্তু তেমনটা হয়নি।

সবকিছু দূরে ঠেলে ক্লাবের স্বার্থে এগিয়ে এসেছেন তিনি। বলাবাহুল্য, বর্তমান সময়ে লাল-হলুদ ক্লাব কর্তাদের নিয়ে বহুবার মনমালিন্য দেখা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে। আসতে বিগত কয়েক বছর ধরেই একেবারে ছন্দে নেই দল। যা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না সমর্থকরা। তাই এই পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্তাদের উপর তীব্র ক্ষোভ থাকলে ও সৈকত গাঙ্গুলীর এমন পদক্ষেপ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সমর্থকদের।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে পিতৃহারা হওয়ার পর ফেসবুকে একটি স্মৃতিবিজড়িত পোস্ট করেন লাল-হলুদের এই ফুটবল সচিব। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখ করার পাশাপাশি মারা যাওয়ার আগেরদিন ইস্টবেঙ্গলের জন্য নাকি ভালো দল গঠনের আবেদন করেছিলেন তার বাবা। সেকথা ও উল্লেখ করেন তিনি। সেইমতো পরেরদিন ইনভেস্টরদের সঙ্গে বৈঠকে হাজির হন সৈকত গাঙ্গুলী। যা মন জয় করেছে সকলের।