নিশু কুমারকে বিদায় জানাল লাল-হলুদ, কী বলছেন এই ডিফেন্ডার?

সাফল্যের মধ্য দিয়ে গত মরসুম শুরুর পরিকল্পনা ছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের (East Bengal FC)। সেইমতো তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের নির্দেশ মতো একের পর এক হাইপ্রোফাইল…

East Bengal FC Parts Ways with Nishu Kumar for ISL 2025

সাফল্যের মধ্য দিয়ে গত মরসুম শুরুর পরিকল্পনা ছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের (East Bengal FC)। সেইমতো তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের নির্দেশ মতো একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের দলে টেনেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছিল সকল সমর্থকদের। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। ডুরান্ডের পর দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএলে দলের ভালো পারফরম্যান্সের আশায় বুক বেঁধেছিল সকলে। কিন্তু সেখানে ও মিলেছিল হতাশা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম ছয়টি ম্যাচেই নাস্তানাবুদ হতে হয় দলকে। এই পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন কুয়াদ্রাত।

পরিবর্তে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অস্কার ব্রুজনের হাতে। তাঁর তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল দল। কিন্তু খেলোয়াড়দের চোট আঘাতের পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার দরুন বারংবার ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল ময়দানের এই প্রধানকে। যার দরুন অনবদ্য লড়াই করে ও সুপার সিক্সের আশা জিইয়ে রাখা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। তারপরে ও কলিঙ্গ সুপার কাপ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সকলে। হতশ্রী পারফরম্যান্সের দরুন সেখান থেকে ও ছিটকে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত ট্রফিহীন থেকেই শেষ হয়েছিল ফুটবল সিজন।

   

তবে এই হতাশা ভুলে অনেক আগে থেকেই নতুন সিজনের জন্য ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। বিগত কয়েক মাস ধরেই উঠে আসতে শুরু করেছে একাধিক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের নাম। তবে শুধুমাত্র সই করানোই নয়। নয়া মরসুমের কথা মাথায় রেখে বেশকিছু বদল ও যে আনা হবে দলের মধ্যে সেই ইঙ্গিত ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে একাধিক শোনা গিয়েছিল ভারতীয় লেফট ব্যাক নিশু কুমারের নাম‌। মনে করা হচ্ছিল নতুন মরসুমে আর হয়তো তাঁকে দলে রাখবে না ম্যানেজমেন্ট। সেটাই হল শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সোমবার সন্ধ্যায় নিজের সোশ্যাল সাইটে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেন লাল-হলুদের এই প্রাক্তন তারকা।

Advertisements

পাশাপাশি দলের প্রতি আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি লেখেন, “ইস্টবেঙ্গল এফসিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। লাল এবং হলুদ জার্সি পরা এবং এমন একটি ঐতিহাসিক ক্লাবের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। দলের কোচ, সতীর্থ, কর্মী এবং বিশেষ করে সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞ যারা আমাদের পাশে ছিলেন। এখানকার ফুটবল সংস্কৃতিকে কাছ থেকে অনুভব করতে পারা এবং তার অংশ হতে পারা সত্যিই বিশেষ। এই সমস্ত মুহূর্তগুলো আমার মনে থেকে যাবে। আগামী দিনের জন্য ক্লাবের প্রতি শুভকামনা রইল।”