ISL’র মাঝপথে বির্তকে ইস্টবেঙ্গল এফসি

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল এফসি। তাই লিগের মাঝ সেশনে হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তনের সম্ভাবনা ঘিরে চর্চ্চা শুরু…

East Bengal Football Club supporters showing their passion and love for the team

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল এফসি। তাই লিগের মাঝ সেশনে হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তনের সম্ভাবনা ঘিরে চর্চ্চা শুরু হয়েছে লাল হলুদ শিবিরে।

এখনও পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল যুবভারতী ISL’এ ৮ ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে তিন ম্যাচ জিতেছে কলকাতার বাইরে এবং ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি উল্টে ৫ ম্যাচ হেরেছে এবং এক ম্যাচ ড্র করেছে।অন্যদিকে, কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে অ্যাওয় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ৬ ম্যাচ খেলে ৪ টে খেলায় জিতেছে,এক ম্যাচ ড্র করেছে এবং হেরেছে ১ ম্যাচে। ছোট মাঠে ইস্টবেঙ্গল পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকার কারণে ISL টুর্নামেন্টে লাল হলুদ বিগ্রেডের হোম গ্রাউন্ড বদল ঘিরে চর্চ্চা শুরু হয়েছে।

কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝপথে হোম গ্রাউন্ড আদৌ পরিবর্তন করা যায় কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। তবে এই হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তন ইস্যুতে ভিন্ন মত রয়েছে। ISL টুর্নামেন্টে চলতি বছর হায়দরাবাদ এফসি পুনে’তে নিজেদের হোম গ্রাউন্ড বেছে ছিল, এখন নিজামর্সদের হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তিত হয়েছে এবং তা GMC বালাযোগী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম হায়দরাবাদ হয়েছে।অর্থাৎ সেশনের মাঝপথে হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তন নিয়ে ISL টুর্নামেন্টের যৌথ আয়োজক প্রতিষ্ঠান FSDL এবং AIFF’র কড়া বিধিনিষেধ নেই।

হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তনের পিছনে একটা যুক্তি উঠে আসছে যদি ম্যাচ জিততে হলে ছোট স্টেডিয়ামে খেলতে হবে। কভার করার জন্য কম জায়গা পাওয়া যাবে।তবে সবকিছুই এখন আলোচনার স্তরে,এই ইস্যুতে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল এফসি।

তবে ছোট মাঠে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স ভালো এমন যুক্তি দেখিয়ে হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তন ইস্যুতে সহমত নয় লাল হলুদ সমর্থকদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, ইমামি চুক্তিপত্রে সই করার আগে থেকেই দলগঠনের দায়িত্ব ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিল। ক্লাব কর্তারাই খেলোয়াড় বাছাই করেছে।ফুটবলার বাছাই করার সময়েই ফুটবলারদের প্রোফাইল তাদের বিগত সময়ের পারফরম্যান্স সমস্ত রেকর্ড ক্লাব কর্মকর্তাদের হাতে এসেছিল।তাহলে রিক্রুট করার আগে খেলোয়াড়রা আদৌ পারফর্ম করার যোগ্য কিনা,তাদের মানসিক এবং শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখার শক্তি আছে কিনা তা সঠিক বিঞ্জান সম্মত পদ্ধতিতে যাচাই করা হয়নি কেন?

ওই সময়ে ফুটবলার রিক্রুটের সময়ে আরও বেশি সজাগ থাকলে আজ নতুন করে হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তন নিয়ে কথা উঠতো না।একটা বিষয় পরিষ্কার ISL সেশনের মাঝপথে হোম গ্রাউন্ড পরিবর্তন ইস্যুতে ইস্টবেঙ্গল এফসির ভিতর এবং বাইরে বিতর্ক দানা পাঁকিয়েছে টুর্নামেন্টে রেড এন্ড গোল্ড বিগ্রেড আশানুরূপ পারফরম্যান্স না করতে পারার কারণে।