জিতলেও ইস্টবেঙ্গলের একটি বিষয় চিন্তায় রাখছে

কলকাতা: কলকাতা ফুটবল লিগের পর ডুরান্ড কাপ। ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে ছুটে চলেছে মশাল বাহিনী। এবারের ডুরান্ড কাপের পরপর দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal…

East Bengal FC defence conceded goals in back to back matches

কলকাতা: কলকাতা ফুটবল লিগের পর ডুরান্ড কাপ। ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে ছুটে চলেছে মশাল বাহিনী। এবারের ডুরান্ড কাপের পরপর দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। গোল করেছেন একাধিক ফুটবলার। কলকাতা ফুটবল লিগেও গোল করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েনি ইস্টবেঙ্গল। আক্রমণভাগকে সচল রাখছে মাঝমাঠ। চিন্তায় রাখছে ডিফেন্স।

অশান্তির জের, ভাঙচুর করে ট্রফি লুট বাংলাদেশের দুই ফুটবল ক্লাবে

   

ডুরান্ড কাপের ১৩৩ তম সংস্করণের পরপর দুই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল যেমন জিতেছে, তেমনই গোলও হজম করেছে। ক্লিন-শিট রাখতে পারেনি দল। প্রস্তুতি ম্যাচেও ইস্টবেঙ্গলের জালে একাধিকবার বল জড়িয়েছে।

ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের ফুটবল টিম হোক কিংবা কাশ্মীরের ডাউনটাউন হিরোজ এফসি, এই দুই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে দেখা গিয়েছে শৈথিল্য। গোল হওয়ার সময় জায়গায় ছিলেন না ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা। কিংবা উপস্থিত থাকলেও লাল হলুদের রক্ষণভাগের ফুটবলারদের মধ্যে দেখা যায়নি তৎপরতা। এ বিষয়ে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত নিজেও হয়তো নজর দেবেন।

ডুরান্ড কাপে কিছু ক্লাব রিজার্ভ টিম খেলাচ্ছে, কিছু খেলাচ্ছে পূর্ণ শক্তির দল। ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও ডুরান্ড কাপ জয়ের একাধিক দাবিদার রয়েছে। গত মরসুমে কাপ জিতেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বেঙ্গালুরু এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মতো একাদিক দল খেতাব জিততে চাইবে। কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স কেমন খেলে সে দিকে ফুটবল প্রেমীদের নজর থাকবে।

জ্বলল মশাল, হুঙ্কার লাল-হলুদের! ডুরান্ডের কোয়ার্টারে ইস্টবেঙ্গল

মরসুম শুরুর আগে ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তাঁর দল আরও আগ্রাসী হতে চলেছে। ময়দানী প্রবাদে রয়েছে অ্যাটাক ইজ দ্যা বেস্ট ডিফেন্স। মানে আক্রমণই শ্রেষ্ঠ রক্ষণ। বিশ্ব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটির মতো দল ঝাঁঝালো আক্রমণ তৈরি করার জন্য পরিচিত। গোল খেলে পাল্টা গোল দেওয়ার মতো ক্ষমতা এই দুই দলের ইউএসপি। ইস্টবেঙ্গলও যদি সেই পথ বেছে নেয় তাহলে লাল হলুদ সমর্থকরা নিশ্চই অখুশি হবেন না।