গত বুধবার, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) নিজেদের ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শেষ মুহুর্তে গোল হজম করে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি’কে (East Bengal FC)। তবে খেলার রেজাল্ট ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গেলেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি ইস্টবেঙ্গল এফসি’র ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন (Stephen Constantine)। বিশেষত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর দল যা খেলেছে, সেই খেলাই ধরে রাখতে চান বলে ম্যাচের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন লাল হলুদ হেডকোচ।
ম্যাচের ৭ মিনিটে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের গোলে লিড নেয় এফসি গোয়া। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে লাল হলুদ দলে পরিবর্তন এনে ও কৌশল পাল্টে ফেলে ইস্টবেঙ্গল এফসি। ৬৪ মিনিটের মাথায় ক্লেটন সিলভার পেনাল্টি থেকে আসা গোলে সমতা আনে ইস্টবেঙ্গল।
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে শেষ মুহুর্তে গোল হজম প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল এফসি হেডকোচ স্টিফেন কনস্টাটাইনের বক্তব্য, “একেবারে শেষ মিনিটে গোল সত্যিই হতাশাজনক। তবে যে গেম ছেলেরা দেখিয়েছে, এরকমই গেম ছেলেদের কাছে চাই। তবে এই গেম ৯০ মিনিট খেলতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ক্লেইটন সিলভার গোলে ইস্টবেঙ্গল ১-১ গোলের সমতায় ফিরেও আসে। কিন্তু ম্যাচের এক্কেবারে শেষ মুহুর্তে ৯৫ মিনিটে লাল হলুদ ফুটবলারদের মনসংযোগে ঘাটতি পড়ে, লাল হলুদ খেলোয়াড়রা ভেবেই নিয়েছিল ম্যাচ এখন ড্র’র পথে। স্কোরলাইন ১-১ গোলে ড্র রেখে, সমর্থকদের সামনে ঘরের মাঠে না হেরে, মুখ লুকিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হবে না।আর এই মানসিকতার জেরেই লাল হলুদ ফুটবলারেরা সাংঘাতিক একটা কাজ করে ফেলে,তা হল ঢিলেমি দেওয়া ম্যাচ চলাকালীন।
এফসি গোয়া, ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের এই ঢিলেমির সুযোগকে কাজে লাগায় এবং এদু বেইতিয়ার গোলে কার্লোস পেনা লাল হলুদ সমর্থকদের সামনে থেকে তিন পয়েন্ট পকেটে পুরে ফেলে। ড্র হতে যাওয়া ম্যাচ হেরে বসে ইস্টবেঙ্গল এফসির ফুটবলারেরা ম্যাচ টেম্পারমেন্ট অর্থাৎ মানসিকতার জন্য। ঠিক এই কারণেই লাল হলুদ হেডকোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন লাল হলুদ খেলোয়াড়দের মানসিকতা বদলের ওপর জোর দিয়েছেন,যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।