চলতি আইএসএলে বেঙ্গালুরু এফসির পাশাপাশি এফসি গোয়ার মতো দলের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি লাল-হলুদ (East Bengal) শিবির। নির্ধারিত সময়ের শেষে তিন পয়েন্ট মাঠে ফেলেই আসতে হয়েছে তাদের। যা দেখে হতাশ সকলেই। এই পরিস্থিতিতে দলের ভুলভ্রান্তি শুধরে নেওয়ার জন্য কলকাতা লিগের পাশাপাশি আইলিগের একাধিক শক্তিশালী দলগুলির সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের তরফ থেকে। যেমন ভাবনা ঠিক তেমন কাজ।
গত কয়েকদিন আগেই নিজেদের ঘরের মাঠে আইলিগের শক্তিশালী দল নেরোকা এফসির মুখোমুখি হয়েছিল ক্লেটনরা। নির্ধারিত সময়ের শেষে সেই ম্যাচে পরাজিত হতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দলকে। তার ঠিক কয়েকদিন পর কিবু ভিকুনার ডায়মন্ডহারবার এফসির মুখোমুখি হয় দল। সেই ম্যাচে ও অমীমাংসিত থাকে ফলাফল।
তারপর আজ, সোমবার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ময়দানের আরেক প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। নির্ধারিত সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নেয় কার্লোস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে জাভিয়ের সিভেরিও টোরো,আন্তোনিও লুকাস পার্দো, ভিপি সুহের ও নিশু কুমার। উল্লেখ্য, ম্যাচের প্রথম ৬০ মিনিট দলের পাঁচজন বিদেশি নিয়েই খেলে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
অন্যদিকে, ম্যাচের প্রথমার্ধে মহামেডান স্পোর্টিং দলের কোনো বিদেশি ফুটবলারদের দেখা না গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামানো হয় এডি হার্নান্দেজকে। বলতে গেলে আজ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই তুল্যমূল্য লড়াই করতে দেখা যায় মহামেডান দলকে। তবে শেষ পর্যন্ত জয় পায় মশাল ব্রিগেড।
উল্লেখ্য, আজকের এই জয় আসন্ন আইএসএল ম্যাচে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দেবে নিশুদের। আগামী ৪ঠা নভেম্বর নিজেদের ঘরের মাঠে ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা দলের মুখোমুখি হতে হবে লাল-হলুদ দলকে। গত দুই ম্যাচের হার ভুলে আদৌ কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে ইস্টবেঙ্গল এখন সেটাই দেখার।