Durand Cup Final: মোহনবাগানকে নিয়ে বাড়তি সতর্ক মশাল-কোচ কুয়াদ্রাত

গত মরশুমের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল লাল-হলুদ (East Bengal) ব্রিগেড। সেইমতো এবারের এই ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) শুরু থেকেই যথেষ্ট ছন্দে থেকেছে দল। প্র

East Bengal Head Coach Carles Cuadrat

গত মরশুমের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল লাল-হলুদ (East Bengal) ব্রিগেড। সেইমতো এবারের এই ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) শুরু থেকেই যথেষ্ট ছন্দে থেকেছে দল। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সেনার বিপক্ষে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে অসমাপ্ত রেখেই শেষ হয় সেই ম্যাচ।

পরবর্তীতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান দলের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত জয় তুলে এয় ইস্টবেঙ্গল। তারপর শেষ ম্যাচে শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসিকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরবর্তী রাউন্ডে চলে যায় কলকাতার এই প্রধান। সেখান থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল জিতে সোজা ফাইনালে উঠে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।

যেখানে আবারও তাদের প্রতিপক্ষ সেই মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। গত গ্রুপ ম্যাচের তুলনায় প্রতিপক্ষ দল যে আরও শক্তিশালী হবে তা ভালোই বুঝতে পারছেন লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। তাছাড়া গত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ থেকেই যেন বাড়তি শক্তির সঞ্চার ঘটেছে বাগান শিবিরের। পাশাপাশি ডুরান্ড কাপের রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ও দেখা দিয়েছে বিবিধ সমস্যা। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক দেখা দিয়েছে সর্বত্র। বিশেষ করে ম্যাচের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান দলের বিপক্ষে শক্তিশালী মুম্বাই সিটির পেনাল্টি না পাওয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি দেওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তারা।

এসবের মাঝেই আজ ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে মোহনবাগান নিয়ে যথেষ্ট সাবধানী মনোভাবে দেখা গিয়েছে কুয়াদ্রাতকে। তিনি বলেন, “প্রথম ম্যাচে যে মোহনবাগান দলকে দেখে ছিলাম। এই দল তার থেকে অনেকটাই আলাদা। ওই ম্যাচের পর ওরা অনেক ম্যাচ খেলেছে। ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি এএফসি কাপের ম্যাচে নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একাধিক দলের মুখোমুখি হয়ে ওরা জিতেছে। ম্যাচ এগোনোর সাথে সাথেই ওদের কৌশল বদলেছে। পাশাপাশি ওদের দলের খেলোয়াড়রা ও যথেষ্ট ফিট রয়েছে।” তাই আগামীকালের লড়াই যে আরও কঠিন হতে চলেছে তা কিন্তু বলাই চলে।