বিগত মরশুমগুলোতে যা হয়েছে তাতে খুব একটা ভালো বিজ্ঞাপন হয়নি। বস্তুত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal Club) ওপর থেকে অনেক ফুটবলার আস্থা হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী মরশুমের জন্য দল গোছাতে গিয়ে কর্তারা সেটা টের পেয়েছে বলে একাংশের অনুমান।
লাল হলুদ ক্লাবে খেলে যাওয়া ফুটবলারদের বকেয়া বেতন নিয়ে অনেক আলোচনা, লেখালেখি হয়েছে। ফুটবলারদের প্রাপ্য না মেটানোয় ট্রান্সফার ব্যানের মুখে পড়েছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। কর্পোরেট লিগে খেলোয়াড়দের বেতন সমস্যা মোটেও ভালো বিজ্ঞাপন নয়। প্রাপ্য আদায় করার জন্য ফুটবলারদের দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। সমস্যা পুরোপুরি মিটে গিয়েছে বলেও জানা যায়নি এখনও।
বেতন সমস্যা ছাড়াও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বড় ইস্যু বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতের অমিল। কোয়েস হোক বা শ্রী সিমেন্ট, দুই পর্বের সম্পতি মধুর হয়নি। সবমিলিয়ে বিগত কয়েক বছরের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আমেজ খুব একটা আরামদায়ক ছিল না। আগামী সময়েও যে এমনটা হবে না তার নিশ্চয়তা কি রয়েছে?
ফুটবল মহলে গুঞ্জন, ফুটবলাররা নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। লাল হলুদ কর্তারা অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন। কিন্তু অনেকেই ক্লাবের ওপর আস্থা রাখছেন না বলে অনুমান। এর ফলে দল গঠনের কাজ ব্যহত হতে পারে।
এছাড়াও আরও একটা সমস্যা রয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের বড় বাজেটের দলগুলোতে রয়েছেন ভারতের জাতীয় দলের এক বা একাধিক ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গলের স্কোয়াডে জাতীয় দলের খুব বেশি খেলোয়াড়কে হয়তো দেখা যাবে না। কারণ তাঁরা ইতিমধ্যে কোনও না কোনও দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ভালো মানের ভারতীয়দের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি সেরে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাবগুলো। সেখান থেকে ফুটবলার সই করাতে হলে লাল হলুদ ক্লাবকে দিতে হতে পারে ভালো অংকের ট্রান্সফার মূল্য।