East Bengal: রিলিজ নিচ্ছেন লাল-হলুদ অধিনায়ক, কিন্তু কেন?

এবারের কলকাতা ফুটবল লিগে লাল-হলুদ (East Bengal) জার্সিতে যথেষ্ট ঝলমলে থেকেছেন শুভেন্দু মান্ডি (Subhendu Mandi)।

Suvendu Mandi

এবারের কলকাতা ফুটবল লিগে লাল-হলুদ (East Bengal) জার্সিতে যথেষ্ট ঝলমলে থেকেছেন শুভেন্দু মান্ডি (Subhendu Mandi)। বলতে গেলে জুনিয়র দলের কোচ বিনো জর্জের অন্যতম ভরসাযোগ্য অস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন এই তরুণ তারকা। বলাবাহুল্য, এই তরুণ প্রতিভাদের হাত ধরেই প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে এখনো পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

তবে এবার এক বড়সড় ধাক্কা ময়দানের এই প্রধানে। দল ছাড়ছেন লাল-হলুদ রক্ষনভাগের অন্যতম ভরসাযোগ্য তারকা তথা অধিনায়ক শুভেন্দু মান্ডি। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে আর অন্য কোনো ফুটবল দল নয়। বলতে গেলে ফুটবল ক্যারিয়ারে ইতি টানতে চলেছেন এই প্রতিভাবান। আর কিছুদিন অপেক্ষা করলেই হয়ত ডাক পেতেন লাল-হলুদের সিনিয়র দলে। তাহলে কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিলেন এই লাল-হলুদের এই তারকা?

জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতেই ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশের চাকরি পেয়েছেন ময়দানের এই দাপুটে ফুটবলার। চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকেই যোগ দিতে হবে সেখানে। তাই তার আগেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল দল থেকে রিলিজ চেয়ে নিয়েছেন শুভেন্দু। একটা সময় উত্তরপাড়ার নেতাজী ব্রিগেড থেকে নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন এই তারকা ফুটবলার। সেখান থেকেই একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করা। তারপর সময় এগোনোর সাথে সাথে সকলের নজরে আসেন এই প্রতিভাবান ফুটবলার।

এরপর একটা সময় লাল-হলুদ জার্সিতে ময়দানে দাপিয়ে খেলা। স্বপ্ন ছিল প্রিয় দলের জার্সিতে আইএসএল খেলবেন তিনি। সেইমতো প্রস্তুতি ও শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে এবার দাঁড়ি পড়ল এই যাত্রায়। আসলে ছোটবেলা থেকেই পরিবারের বহু অভাব ও অনটনের সম্মুখীন হয়ে এসেছেন এই শুভেন্দু। তাই আর্থিক নিরাপত্তা তৈরি করার বিরাট দায়িত্ব তার কাঁধে এসেছিল ঠিক তখন থেকেই। যারফলে, এবার ইচ্ছে না থাকলেও ছাড়তে চলেছেন নিজের সাধের ফুটবলকে।

এই নিয়ে পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হতাশার সুরে তিনি বলেন, “আমার সত্যি কিছু করার নেই জানেন। ডেঙ্গির কবলে পড়ে গত বছরটা শেষ হয়ে গেল। তবে এই বছর যথেষ্ট ভালো খেলছিলাম। কিছুদিন অপেক্ষা করলে হয়ত সিনিয়র দলেও ডাক পেতাম। কিন্তু আর্থিক দিক নিয়ে যথেষ্ট নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছিল। তাছাড়া বয়সটাও যথেষ্ট বেড়ে যাচ্ছিল। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকরি করব।” বলাবাহুল্য, এই আর্থিক সমস্যার জন্যই এবাভেই ময়দান থেকে হারিয়ে যায় লাখো লাখো শুভেন্দু।