আর হাতে গোনা কয়েক দিন বাদেই সরগরম হয়ে উঠতে চলেছে ট্রান্সফার মার্কেট।এর মাঝে বেশ কিছু ফুটবলারের নাম জড়িয়েছে,তাদের মধ্যে অন্যতম এক নাম পিটার হার্টলে (peter hartley)। হার্টলে জামশেদপুর এফসির একজন ডিফেন্ডার।খেলতে পারেন লেফটব্যাক পজিশনেও।গত মরসুমে পিটার হার্টলে জামশেদপুর এফসির হয়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিয়েছিলেন।
হার্টলে কে ছেড়ে দিয়ে আরো এক ফুটবলার’কে আনার চেষ্টায় আছে জামশেদপুর।তিনি কে ? সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য,আসা যাক পিটার হার্টলের কথায়।
চলতি মরসুম টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না পিটার হার্টলের।নিজের নামের প্রতি একেবারেই সুবিচার করতে পারছেন না তিনি।
হার্টলের খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে জামশেদপুর ফুল ইম্প্যাক্ট টিম হলেও ম্যাচে জয় নিশ্চিত করতে পারছেনা।দলের বেশ কিছু গোল হজমের জন্যেও দায়ী হার্টলে।
হার্টলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো সমস্যা তিনি একজন যথাযথ সহযোগী পাচ্ছেন না জামশেদপুরে।উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভাগেও একটু বৈচিত্র্যের প্রয়োজন এই মুহূর্তে।ইভান গঞ্জালেজ বা লালচুননুংগার মধ্যে কেউ যদি চোট পেয়ে বসে,তাহলে লাল হলুদে প্রপার কোনও সেন্টার ব্যাক নেই যারা তাদের শূন্য স্থান পূরণ করবে।এক্ষেত্রে সার্থক গোলুই ছাড়া আর তেমন কোনও বিকল্প নেই ইস্টবেঙ্গলের হাতে।
এক্ষেত্রে হার্টলে বেশ ভালো অপশন হতে পারে ইস্টবেঙ্গলের।কিরিয়াকু বর্তমানে মাঝমাঠ সামলাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের।কিরিয়াকু যদি এই ভূমিকা পালন করতে থাকে, তাহলে আলেক্স লিমা কে ছেড়ে ইস্টবেঙ্গল একটা ডিফেন্ডার সই করাতেই পারে।
কিন্তু লিমাকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও ভীষণ কঠিন একটা বিষয় ইস্টবেঙ্গলের কাছে।লিমা ভালো ফুটবলার,তবে ভীষণ চোটপ্রবণ।আর ঠিক এই কারণেই ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট তার বিকল্প খুঁজছে,এমনটাই শোনা যাচ্ছে।কিরিয়াকু কে রাইটব্যাক পজিশনে আনা হয়েছিল, তিনি মাঝমাঠ সামলাচ্ছেন,তাই মাঝমাঠ ছেড়ে একজন চোটপ্রবণ ফুটবলার কে সরিয়ে হার্টলে আনার চিন্তা ভাবনা করতেই পারে ইস্টবেঙ্গল দল।ইভান অথবা লালচুননুংগার সাথে হার্টলে কে জুড়ে দিলে একটা ভালো জুঁটি বেধেঁ দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।