Durand Cup : ডুরান্ড রেকর্ডে প্রচুর গোলের পরেও সুনীল ছাড়া কারও স্থান মেলেনি কলকাতার ময়দানে

শুরু হয়ে গিয়েছে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup)। আই লিগের পাশপাশি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দলগুলোও অংশ নিয়েছে এবার। হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়েছে ইতিমধ্যে। গোলদাতাদের তালিকায় চেনা অচেনা…

Durand Cup

শুরু হয়ে গিয়েছে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup)। আই লিগের পাশপাশি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দলগুলোও অংশ নিয়েছে এবার। হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়েছে ইতিমধ্যে। গোলদাতাদের তালিকায় চেনা অচেনা নাম। তাঁদের মধ্যে ক’জন কলকাতার ক্লাবে খেলেছেন বা খেললেননি সে বিষয়ে এই প্রতিবেদন। 

দেখে নেওয়া যাক ১৮ আগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন কোন ম্যাচ খেলা হয়েছে ও ফলাফল কী:

  • নেরোকা ফুটবল ক্লাব ৩-১ ট্রাউ ফুটবল ক্লাব
  • মুম্বই সিটি ফুটবল ক্লাব ৪-১ ইন্ডিয়ান নেভি
  • নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব ০-৬ ওড়িশা ফুটবল ক্লাব
  • জামশেদপুর ফুটবল ক্লাব ১-২ বেঙ্গালুরু ফুটবল ক্লাব
  • মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩-১ ফুটবল ক্লাব গোয়া

মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৩-১ ফুটবল ক্লাব গোয়া

চলতি ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ফুটবল ক্লাব গোয়া। মহামেডানের হয়ে গোল করেছিলেন প্রীতম, ফজলু ও মার্কোস। গোয়ার গোলদাতা নেমিল। ২০ বছর বয়সী ফুটবলার নেমিল। খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ভূমিকায়। গোয়ার হয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন ও গোল করেছেন। কলকাতার কোনো ক্লাবে এখনও খেলেননি। 

জামশেদপুর ফুটবল ক্লাব ১-২ বেঙ্গালুরু ফুটবল ক্লাব

জামশেদপুর ফুটবল ক্লাবকে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। সিলিকন ভ্যালির দলটির হয়ে গোল করেছিলেন সুনীল ছেত্রী এবং রয় কৃষ্ণা। দু’জনেই কলকাতার ক্লাবে খেলেছেন। এবং দুজনেই বাতিল হয়েছিলেন। জামেশদপুরের হয়ে একমাত্র গোলদাতা ঋষি। ১৯ বছর বয়সী ফুটবলার। খেলেন রক্ষণভাগে। গোল করার ক্ষেত্রে যে দক্ষতা রয়েছে সেটা বুঝিয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের স্টেট ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে জামশেদপুরে এসেছেন।

নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব ০-৬ ওড়িশা ফুটবল ক্লাব

ওড়িশা বনাম নর্থ ইস্ট ম্যাচে গোলের বন্যা। পাঁচজন ফুটবলার করেছেন ছয়টি গোল। জেরির নামের পাশে জোড়া গোল। ২৫ বছর বয়সী এই মিজো উইঙ্গার ইতিমধ্যে ভারতের একাধিক ক্লাবে খেলেছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওড়িশার হয়ে পঞ্চাশের বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে। বেশ কিছু গোল করেছেন। এছাড়াও জামশেদপুর, নর্থ ইস্ট এবং ডিএসকে শিবাজিয়ানসের হয়ে মাঠে নেমেছেন। ২৬ বছর বয়সী নন্দাও ইতিমধ্যে বেশ নাম করেছেন। ভারতের একাধিক ক্লাবে সুনামের সঙ্গে খেলেছেন। চেন্নাই সিটি, দিল্লি ডায়নামোস, ওড়িশার হয়ে খেলেছেন এই তরুণ উইঙ্গার। ২১ বছর বয়সী মিজো উইঙ্গার ইশাক। আইজলের হাত ধরে ভারতীয় ফুটবল ক্লাব উত্থান। এখন রয়েছেন ওড়িশায়। নর্থ ইস্ট ম্যাচে বিদেশি ফুটবলার দিয়েগো একটি গোল করেছেন। ভারতে ওড়িশা ও মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছেন, গোল করেছেন। ১৯ বছর বয়সী থৈবার নাম ভারতীয় ফুটবল মহলে এখন প্রসিদ্ধ। মণিপুরের এই মাঝমাঠের ফুটবলার খেলেছেন মিনার্ভা পাঞ্জাব ও ওড়িশায়। 

মুম্বই সিটি ফুটবল ক্লাব ৪-১ ইন্ডিয়ান নেভি

চন্ডিগড়ের ফুটবলার বিক্রম সাড়া জাগিয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলে। স্ট্রাইকার, উইঙ্গার দুই পজিশনেই খেলতে পারেন। ইন্ডিয়ান অ্যারোজ ও মুম্বই সিটি এফসির হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন এবং গোল করেছেন। গত মরসুমের অন্যতম সেরা ফুটবলার গ্রেগ স্টুয়ার্ট। আগামী দিনে স্কটল্যান্ডের এই ফরোয়ার্ড কোন ক্লাবে খেলবেন সেই নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল। জামশেদপুর হয়ে এখন তিনি মুম্বইয়ে। ভারতীয় ফুটবলের আরও এক তরুণ তারকা ছাঙ্গতে। ডিএসকে শিবাজিয়ানসের হয়ে খেলে পরিচিতি লাভ। পরে যথাক্রমে খেলেছেন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড, দিল্লি ডায়নামোস, চেন্নাইয়ান এবং মুম্বই সিটি। ইন্ডিয়ান নেভির হয়ে গোল করেছিলেন আদেরশ। বেঙ্গালুরু, ওজোন এফসি, কেরালা ইউনাইটেড সহ একাধিক ক্লাবে খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। 

নেরোকা ফুটবল ক্লাব ৩-১ ট্রাউ ফুটবল ক্লাব

উত্তর পূর্ব ভারতের ডার্বি। ট্রাউ-এর হয়ে গোল করেছেন কোমরন। কলকাতার মাঠে পরিচিত মুখ। মোহনবাগানের হয়ে খেলেছিলেন। পরে আর সুযোগ পাননি। নেরোকার হয়ে গোল করেছেন তাংভা, থময়ো। দুজনেই একেবারে তরুণ খেলোয়ার। থময়ো আগে এটিকে রিজার্ভ দলে ছিলেন বলে জানা যায়। ওপর গোলদাতা জন চিডি। মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব, বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।