Football: ‘ফুটবল খেলেও চাকরি-সাকসেস দু’টোই সম্ভব’, এজি বেঙ্গল অফিসে বসে বললেন ‘জিকো’

ফুটবল (Football) খেলেও চাকরি, জীবনে সাকসেস সবই সম্ভব। এজি বেঙ্গলের অফিস থেকে বসে বললেন দিব্যেন্দু চন্দ। কলকাতা ময়দানে যাঁকে চেনে ‘জিকো’ নামে।     ২০০৮ সাল…

dibbendu chanda

ফুটবল (Football) খেলেও চাকরি, জীবনে সাকসেস সবই সম্ভব। এজি বেঙ্গলের অফিস থেকে বসে বললেন দিব্যেন্দু চন্দ। কলকাতা ময়দানে যাঁকে চেনে ‘জিকো’ নামে।

   

২০০৮ সাল থেকে ফুটবল খেলছেন দিব্যেন্দু, এখন তাঁর বয়স ৩৪। ফুটবল খেলার সঙ্গে করছেন চাকরি। চাকরি জীবন প্রায় বারো বছরের। এই বারো বছর চাকরি ও ফুটবল দুটোই চালিয়ে যাচ্ছেন এক সঙ্গে। গত বছরের কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টার্ন রেলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। গোল করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে।

Debjit Majumder: নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার আগে মুখ খুললেন দেবজিৎ

দিব্যেন্দুর মতে, “ফুটবল খেলে জীবনে সাফল্য আসে না এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং ফুটবল খেলে এখন চাকরির সুযোগ অনেক বেশি।” চাকরি ও ফুটবল দুটোই এক সঙ্গে কী করে সম্ভব? দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, “ফুটবলের প্রতি ভালবাসা ও অধ্যাবসায় থাকলে সবই সম্ভব। ফুটবল মাঠকে তুমি যদি কিছু দাও, তাহলে ফুটবল মাঠ তোমাকে নিশ্চই কিছু ফিরিয়ে দেবে।”

‘জিকো’র বিশ্বাস, চোটের কবলে না পড়লে আরো চার বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। দিব্যেন্দু মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ দুটোই খেলেন সমানভাবে। গোটা ম্যাচ জুড়ে ওঠা-নামা করতে হয়। ৩৪ বছর এসে অনেকেই অবসর নেওয়ার কথা ভাবেন। ‘জিকো’ সেখানে ভাবছেন ৩৮ বছর বয়স পর্যন্ত খেলার কথা।

Mohammedan SC: মহামেডানকে বিদায় জানানোর পথে ‘গোলমেশিন’

“চোট না লাগলেও আরো চারটি বছর খেলতে পারবো। নিজের রুটিন মেইনটেন করা খুব জরুরি। সময় মেনে ঘুম থেকে ওঠা, রাতে ঘুমাতে যাওয়া, খাওয়াদাওয়া এসবই করতে হবে নিয়ম মেনে। অন্তত টুর্নামেন্টের এই ক’মাস রুটিন মেনে চলা খুবই দরকার।”

সকাল ৮ টায় শিয়ালদহের মাঠে অনুশীলন করতে যান দিব্যেন্দু। ১১ টা পর্যন্ত অনুশীলন করার পর রাজভবনের পাশে এজি বেঙ্গলের অফিস। বিকেলে অফিস থেকে ফিরে জিম। এরপর রাট দশটার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ঘুম।

জীবনে সাফল্য পাওয়ার জন্য নিয়ম মেনে চলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা কোচদের কাছ থেকে শিখেছেন দিব্যেন্দু চন্দ। তাঁর কথায়, “জুনিয়র ফুটবলারদের এটাই বলবো কোচ যেটা বলবেন সেটাই করো। কোচ পড়াশুনা করে এসেছেন, ভাল বোঝেন, তাই তিনি তোমাকে নির্দেশ দিচ্ছেন।”

Robbie Fowler: রবি ফাউলারের এক ফোনে হয়েছিল দল বদল!

সুনীল ছেত্রীকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। দিব্যেন্দু আরও বলেছেন, “জুনিয়র ফুটবলারদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলবো, ছেলে-মেয়েদের মাঠে পাঠান। স্পোর্টস কোটায় এখন চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ বছরেও চাকরির সুযোগ রয়েছে, সামনের বছরেও আশা করি থাকবে।” ছোটো-বড়ো বিচার না করে কোচের কথা শুনে নিয়ম মেনে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন দিব্যেন্দু চন্দ।