করোনাকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহকারী অয়নই এখন কিবুর নয়নের মণি

লকডাউন উঠলেও মানুষের মধ্যে ছিল কোভিড আতঙ্ক। অয়ন মন্ডল (Ayan Mondal) তখন বাড়ি বাড়ি যেতেন নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। সেই অয়ন এখন কোচ কিবু ভিকুনার…

Ayan Mondal Diamond Harbour FC

লকডাউন উঠলেও মানুষের মধ্যে ছিল কোভিড আতঙ্ক। অয়ন মন্ডল (Ayan Mondal) তখন বাড়ি বাড়ি যেতেন নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। সেই অয়ন এখন কোচ কিবু ভিকুনার নয়নের মণি। ডায়মন্ড হারবার এফসির (Diamond Harbour FC) ডিফেন্স লাইনের নিয়মিত ফুটবলার।

   

ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার অভিষেক দাস অয়নকে স্টপার হিসেবে খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই থেকে স্টপার হিসেবে নিয়মিত প্র্যাক্টিস শুরু করেন বেহালা শিবরামপুরের এই উঠতি ফুটবলার। অভিষেক দাসের ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুশীলন করেছেন প্রায় দুই বছর। সেখান থেকেই ডায়মন্ড হারবার এফসির হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন অয়ন।

ডুরান্ড কাপ হতে পারে প্রস্তুতির মঞ্চ

অয়ন নিজেকে কোভিড যোদ্ধা বলতে নারাজ। তাঁর, “আমি কোভিড যোদ্ধা ছিলাম না। লকডাউন তখন উঠে গিয়েছিল। করোনা আতঙ্ক তখনও ছিল। কিন্তু আমি নিজেকে কোভিড যোদ্ধা বলতে চাই না। এক দাদার সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্ল্যাড স্যাম্পেল কালেক্ট করতাম শুধু।”

করোনাকালে ফুটবল খেলা প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। খেলা ছেড়ে দেবেন বলেও ভেবেছিলেন অয়ন। মাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকার চাকরিতে ঢুকেছিলেন। ফুটবল ছেড়ে বেশি দিন থাকতে পারেননি। আবার ফিরে আসেন মাঠে, শুরু করেন অনুশীলন, সুযোগ পেয়ে যান ডায়মন্ড হারবার এফসিতে। এই ক্লাবের হয়েই আরো খেলতে চান অয়ন।

মোহনবাগানের পাখির চোখ হতে পারে ACL 2

অভিষেক দাসের পর অয়নের ভাল পাৰ্ফরম্যানসের পিছনে রয়েছে কিবু ভিকুনার হাত। কোচ কিবু সম্পর্কে অয়ন বলেছেন, “কিবু স্যার খুব ভাল একজন মানুষ। ওনার কাছে সব প্লেয়ার সমান, ছোট-বড় বিচার করেন না। জানি না অন্য কোনো কোচ থাকলে সুযোগ পেতাম কি না। কিবু স্যার ভরসা করে আমাকে খেলিয়েছেন, প্রচুর টিপস দিয়েছেন।”

অয়ন বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চান। সন্তোষ ট্রফি তাঁর লক্ষ্য। আসন্ন কলকাতা ফুটবল লিগেও নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে চান ডায়মন্ড হারবার এফসির অয়ন মন্ডল।