২৩ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ধ্রুব জুরেল (Dhruv Jurel) টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (India vs England) মাত্র ৪ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করে ৪৬ রানে আউট হন তিনি। এই ইনিংসের সঙ্গে সঙ্গে নিজের নামে কিছু রেকর্ডও গড়েছেন। জুরেলের জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার যাত্রাটা সহজ ছিল না। তাঁর বাবা (Dhruv Jurel Father) কার্গিল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এই ইনিংসের পর একটি বিবৃতিও দিয়েছেন জুরেলের কোচ।
ধ্রুব জুরেলের বাবা নেমচাঁদ কার্গিল যুদ্ধের সৈনিক। যখন তাঁর বাবা প্রয়াত হন তখন তাঁর বয়স ১৪ বছর এবং তিনি বাবাকে ছাড়াই আগ্রার বাড়ি ছেড়ে একা নয়ডায় চলে আসেন। এ সবই জানিয়েছেন তাঁর কোচ ফুলচাঁদ। ধ্রুবের বাবা ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে লড়েছিলেন এবং তারপরে ২০০৮ সালে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন।
১৪ বছর বয়সে জুরেল আগ্রা থেকে নয়ডায় এসে ফুলচাঁদের বিখ্যাত অ্যাকাডেমিতে পৌঁছান। “আমি কিছু বলার আগেই ছেলেটি (ধ্রুব) বলল, ‘স্যার, আমার নাম ধ্রুব জুড়েল’। দয়া করে আমাকে আপনাদের অ্যাকাডেমিতে নিয়ে যান। আমি ভেবেছিলাম এখান থেকে একটি ছেলে এসেছে। কিন্তু সে বলল স্যার আমি আগ্রা থেকে একা এসেছি এবং যে বন্ধুটি তার বাড়িতে আমার থাকার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সে আমার ফোন তুলছে না”, বলেছেন কোচ ফুলচাঁদ।
২০২২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সহ-অধিনায়ক ছিলেন জুরেল। আইপিএল ২০২২-এ তাঁকে দলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস।
He narrowly missed out on a fifty…
…but that was a fine knock on Test debut from Dhruv Jurel 👌 👌
Follow the match ▶️ https://t.co/FM0hVG5pje#TeamIndia | #INDvENG | @IDFCFIRSTBank pic.twitter.com/So2Ztv8GiB
— BCCI (@BCCI) February 16, 2024
রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৪ বলে ৪৬ রান করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সূচনা করেছিলেন ২৩ বছর বয়সী ধ্রুব। এই সংক্ষিপ্ত ইনিংসে দারুণ ছন্দে দেখা গিয়েছে। জুরেলের ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কা। হার্দিক পান্ডিয়ার পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক টেস্টে তিনটি ছক্কা হাঁকানোর নজির গড়লেন তিনি। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন হার্দিক।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক ম্যাচে তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা খেলোয়াড় হলেন জুরেল। এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছেন কেএল রাহুল। ২০১৪ সালে টেস্ট অভিষেক হলেও কেএল রাহুল শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলতেন। ২০২৩ সালে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম টেস্ট খেলেন রাহুল। সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ১০১ রান। দ্বিতীয় স্থানে আছেন দিলোয়ার হোসেন, যিনি ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৫৯ রান করেছিলেন।