ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইনকে বিদায় জানিয়ে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে লাল-হলুদের (East Bengal) দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে সমস্ত কিছু। তার পছন্দ মত খেলোয়াড়ই এনে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে বিদেশি ফুটবলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত।
যাদের মধ্যে ছিলেন জাভিয়ের সিভেরিও টোরো থেকে শুরু করে সাউল ক্রেসপো , বোরহা হেরেরা ও অ্যান্তোনিও পার্দো লুকাসের মতো তারকা। এছাড়াও অজি ফুটবলার জর্ডন এলসিকে আনেন এই স্প্যানিশ হাইপ্রোফাইল। এই নতুন টিম নিয়ে মরশুমের শুরু থেকেই একেবারে অনবদ্য ছন্দে চলে আসে লাল-হলুদ ব্রিগেড। যার দরুন ডুরান্ড কাপ ফাইনাল খেলে ইস্টবেঙ্গল। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যথেষ্ট খুশি করেছিল সকলকে।
কিন্তু ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও বেগ পেতে কিছুটা সময় লেগেছিল এই দলের। তবে সুপার কাপ শুরু হতেই অনবদ্য ছন্দে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলকে। হায়দরাবাদ এফসি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে শ্রীনিধি ডেকান এবং মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের মত দলকে অতি সহজেই পরাজিত করে দেয় কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। সেখান থেকে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল। খালিদ জামিলের জামশেদপুর কে পরাজিত করে শেষ ম্যাচে চলে যায় ময়দানের এই প্রধান। তারপর গত রবিবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সৃষ্টি হয় এক নতুন ইতিহাস। ১২ বছর পর জাতীয় স্তরের ট্রফি জয় করে ইস্টবেঙ্গল। সেই নিয়েই এখন আনন্দে মাতোয়ারা সকলে। কিন্তু দলের স্প্যানিশ তারকা জাভিয়ের সিভেরিও টোরোর পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি ছিলেননা কেউ।
যারফলে, আইএসেলের প্রথম লেগের মাঝামাঝি সময় থেকেই শোনা যাচ্ছিল, উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে নাকি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডকে ছেড়ে দেবে ইস্টবেঙ্গল। অবশেষে সেটাই হল এবার। এই উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডোতে লাল-হলুদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন জাভিয়ের সিভেরিও। একটা সময় হায়দরাবাদ এফসিতে তার অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখেই দলে টেনেছিলেন কুয়াদ্রাত। কিন্তু খুব একটা খুশি করতে পারেননি। যার দরুন, এবার খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসিতে পা রাখতে চলেছেন এই তরুণ তারকা।