Punjab FC: সরে গিয়েছে প্ৰিয় ক্লাব, নতুন দলকে আঁকড়ে স্বপ্ন বুনছে ‘আল্ট্রাস’

প্রীতম সাঁতরা: নিজের রাজ্যের ISL দল না থাকার যন্ত্রণা যে কি সেটা তারাই বুঝবেন যারা ভুক্তভোগী। দিল্লির কোনও দল নেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। আগে ছিল…

Delhi Dynamos FC' Departure Leaves 'Ultras

প্রীতম সাঁতরা: নিজের রাজ্যের ISL দল না থাকার যন্ত্রণা যে কি সেটা তারাই বুঝবেন যারা ভুক্তভোগী। দিল্লির কোনও দল নেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে। আগে ছিল দিল্লি ডায়নামোস (Delhi Dynamos FC)। রবার্তো কার্লোসের মতো কিংবদন্তিকে নিয়ে এসে দিয়েছিল চমক। পরে বিভিন্ন কারণে দিল্লি থেকে ক্লাব সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওড়িশায়। ফলত দিল্লিতে রইল না কোনও আইএসএল ক্লাব। তাহলে সেখানকার সমর্থকরা কোন দলের হয়ে গলা ফাটাবেন? দিল্লি ডায়নামোসের নিজস্ব স্যান বেস, ফ্যান ক্লাব ছিল। দল ওড়িশায় সরে যাওয়ার ফলে এই সমর্থকরা এক প্রকার গৃহহীন হয়ে পড়লেন। ঘটনাটি ২০১৯ সালের।

চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে পাঞ্জাব এফসি নিজেদের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে বেছে নিয়েছিল দিল্লির জহওরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামকে। দল পাঞ্জাবের কিন্তু খেলবে দিল্লি থেকে। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রবেশ করেছিল পাঞ্জাব এফসি।

পাঞ্জাব এফসি জহওরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামকে হোম গ্রাউন্ড হিসেবে বেছে নেওয়ার পর কিছুটা আশার আলো দেখতে শুরু করেন দিল্লির ফুটবল প্রেমী সমর্থকদের একাংশ। তাঁরা ঠিক করলেন পাঞ্জাব এফসি যখন দিল্লি থেকে খেলছে তাহলে এই দলের জন্যই ফ্যান বেস তৈরি করা যাক।

দিল্লিতে পাঞ্জাব এফসিকে সমর্থন করা শুরু করল ‘লায়ন্স ডেন’। গুটিকতক লোক নিয়ে শুরু করা হয়েছিল এই ফ্যান গ্রুপ। ‘লায়ন্স ডেন’-এর প্রতিষ্ঠাতা মিতুল গোস্বামী বলেছেন, “আগে আমরা দিল্লি ডায়নামোসকে সাপোর্ট করতাম। এখন পাঞ্জাব এফসিকে করছি। কারণ পাঞ্জাব এফসি আমাদের শহর থেকে খেলছে।” মিতুল জানিয়েছেন যে অনেকেই এই ফ্যান গ্রুপের ভাবনার সঙ্গে রাজি হচ্ছিলেন না কারণ পাঞ্জাব এফসি দিল্লির ক্লাব নয়। শেষ পর্যন্ত ‘লায়ন্স ডেন’-এ ফুটবল প্রেমীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন প্রায় ৩০০ জন।

দিল্লি থেকে খেলার ফলে দল আদৌ সমর্থন পাবে কি না সে ব্যাপারে পাঞ্জাব এফসির কর্মকর্তারাও চিন্তিত ছিলেন। ‘লায়ন্স ডেন’ তাঁদের এই ভাবনা অনেকটা দূর করে। ফুটবলাররাও খুশি। নতুন শহরে সমর্থন পেয়ে বাড়তি তাগিদ পেয়েছিলেন পাঞ্জাব এফসির খেলোয়াড়রা। কমিউনিটি ছোটো হওয়ার ফলে সমর্থকরাও ফুটবলারদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

“আমরা পাঞ্জাব এফসির আল্ট্রাস সমর্থক। কিন্তু একদম নতুন ফ্যান বেস। অন্য ফ্যান গ্রুপদের থেকে আমরা শিখছি। ক্লাবকে সাপোর্ট করার জন্য আমাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ, কেমন হওয়া উচিৎ নয় এসবই আমরা শিখছি। গ্যালারিতে আমাদের মধ্যে থেকে কেউ যাতে মন্তব্য না করেন সেটাও আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি। কারণ এখন দর্শকরা পরিবার নিয়ে আসছেন, বয়স্করা থাকছেন”, বলেছেন গোস্বামী।

“আল্ট্রাস ফ্যান বেস মানে কট্টর সমর্থক। কোথাও কোথাও হয়তো একটু বেশি উগ্রতা প্রকাশ করা হয়। আমরা সেটা করতে চাই না। কাউকে অপমান করা আমাদের লক্ষ্য নয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকুক, সেই সঙ্গে থাকুক বন্ধুত্ব।”