ক্রিকেট বিশ্বে এমন অনেক নাম আছে যারা তাদের বাবা-মা বা পরিবারের কোনো সদস্যকে দেখে এই খেলাতেই ক্যারিয়ার গড়েছেন। তবে দীপিকা পল্লিকাল (Deepika Pallikal) তাদের থেকে আলাদা। দীপিকার মা সুসান ইতিচেরিয়া তার সময়ের একজন সফল ক্রিকেটার। দীপিকা পাল্লিকাল ক্রিকেটের চেয়ে স্কোয়াশকে বেছে নিয়েছেন। তিনি কেবল স্কোয়াশই বেছে নেননি, এই খেলায় ভারতের এক নম্বর খেলোয়াড়ও হয়েছেন। তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শুরু করে কমনওয়েলথ গেমস এবং এশিয়ান গেমসে পর্যন্ত অনেক পদক জিতেছেন।
দীপিকার মা সুসান ইতিচেরিয়া ১৯৭০-এর দশকে ভারতের হয়ে ৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। এ ছাড়া দুটি ওয়ানডেতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ৭ টেস্টে ৭ উইকেট ও ৪০ রান করেছেন তিনি। একইভাবে ২ ওয়ানডেতে ১ উইকেট ও ১৪ রান করেছেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ব্যবসা শুরু করেন সুসান ইতিচেরিয়া। তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সি চালান।
দীপিকা পাল্লিকাল ভারতের এক নম্বর স্কোয়াশ খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি এখনও বিশ্বের সেরা ২০ স্কোয়াশ খেলোয়াড়ের মধ্যে রয়েছেন। দীপিকা পাল্লিকাল এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে ২টি স্বর্ণ সহ মোট ১০টি পদক জিতেছেন। একইভাবে তিনি বিশ্ব ডাবলস চ্যাম্পিয়নশিপে ২ টি স্বর্ণ সহ ৫ টি পদক জিতেছেন। ২০১২ সালে অর্জুন পুরস্কারেও ভূষিত হন।
দীপিকা পল্লিকাল তার লড়াকু মনোভাবের জন্যও পরিচিত। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ বয়কট করেছিলেন। পুরুষ ও মহিলা খেলোয়াড়দের দেওয়া পুরষ্কারের অর্থের পার্থক্যের প্রতিবাদে দীপিকা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে সময় যে খেলোয়াড় মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে তাকে পুরুষদের চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী খেলোয়াড়ের অর্ধেকেরও কম পুরষ্কার দেওয়া হত। ২০১৬ সাল থেকে উভয় ক্যাটাগরিতে সমান পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। এরপর ২০১৬ সালে জোশনা চিনাপ্পাকে হারিয়ে সিঙ্গেল টাইটেল জিতেছিলেন দীপিকা।