Daniel Chima: ইস্টবেঙ্গলের ট্যাগ লাইনকে যেন বীজ মন্ত্র করেছেন চিমা

সময় যত খারাপই হোক হাল ছাড়তে নেই। ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসে যা বারেবারে পরিলক্ষিত। দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়ার পরেও মরিয়া লড়াই দিতে কখনও পিছুপা হয়নি মশাল বাহিনী।…

Daniel Chima

সময় যত খারাপই হোক হাল ছাড়তে নেই। ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসে যা বারেবারে পরিলক্ষিত। দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়ার পরেও মরিয়া লড়াই দিতে কখনও পিছুপা হয়নি মশাল বাহিনী। ড্যানিয়েল চিমাও বিশ্বাসী এই শরীরী ভাষায় – হাল ছেড়ো না বন্ধু। 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের লাস্ট বয় থেকে একেবারে ফার্স্ট বয়। এটিকে মোহন বাগানকে হারিয়ে ইতিমধ্যে জিতেছেন শিল্ড। ড্যানিয়েল চিমা চুকুউর (Daniel Chima Chukwu) এই উত্থান বহু দিন মনে রাখবেন ফুটবল প্রেমীরা। 

   

চিমা বলেছেন, ‘ সময় যত খারাপই হোক না কেন, হাল ছেড়ে দিতে নেই। আমিও ছাড়িনি। চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ক্রমাগত। নিজেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছি। খারাপ সময় থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। ‘

‘ সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছিল ‘, বলেছেন চিমা। ‘ সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু এখন ছবিটা কেমন সেটা সমলেই এখন দেখতে পাচ্ছেন। আমি গর্বিত।’

চিমা চুকুউ ভারতে এসেছিলেন অনেক সাফল্য নিয়ে। নামের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় ময়দানের অনেকে তাঁর সঙ্গে মনে মনে যুক্ত করে ফেলেছিলেন আশির দশকের চিমা ওকোরির নাম। ড্যানিয়েল চিমা তিনবার নরওয়ের প্রথম ডিভিশন ক্লাব মোল্ড এফকে-র লিগ চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন। চার বছর লিগে অংশ নিয়ে তিনবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তাঁরা। ১৩ গোল করে ২০১৩-য় সেই ক্লাবের সর্বোচ্চ স্কোরারও হয়েছিলেন। খেলেছিলেন বর্তমান ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সোলস্কায়েরের তত্ত্বাবধানেও।

সেই চিমাই এসসি ইস্টবেঙ্গলে এসে মেলে ধরতে পারছিলেন না নিজেকে। দলে বেজে গিয়েছিল তাঁর বিদায় ঘণ্টা। ভরসা করেছিলেন জামশেদপুর এফসির কোচ আওয়েন কোইল । ইস্পাত নগরীর দলে এসে নিজেকে যেন নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। জামশেদপুর এফসির হয়ে নয় ম্যাচ খেলে ইতিমধ্যে করেছেন সাতটি গোল।