ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL) ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal FC)। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিল লাল-হলুদের এক প্রতিনিধি দল। কিন্তু তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে অভিযোগ সমর্থকদের একাংশের।এমন অবস্থায়, ৮ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ হোম ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC) বিপক্ষে মাঠে নামবে মশাল ব্রিগেড। এর আগেই দুঃসংবাদ অস্কার ব্রুজোর (Oscar Bruzon) দলে। চোটের কারণে মরসুম থেকে ছিটকে গেলেন হিজাজি মাহের। অন্যদিকে বড় সুবিধা পেয়ে গেল দক্ষিণের এই দল।
৩০ জানুয়ারি চেন্নাইয়িন এফসির কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার উইলমার জর্ডন গিল কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলার সময় লাল কার্ড দেখেছিলেন। তিনি কেরালার মিলাোস দ্রিনিচকে কনুই দিয়ে আঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই সময় তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি পরবর্তী ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়ে পড়েন। আইএসএল এর নিয়ম অনুসারে, চেন্নাইয়িন এফসি এই ম্যাচে উইলমার জর্ডনকে খেলাতে পারবে না। কিন্তু তার শাস্তি কমানোর দাবি জানিয়ে আবেদন করা হয়েছিল ক্লাবের তরফে। সেই মতোই আইএসএল কর্তৃপক্ষ একেবারে আকস্মিকভাবে তার শাস্তি কমিয়ে দিয়েছে।
View this post on Instagram
তারা লাল কার্ডের শাস্তি বাদ দিয়ে জর্ডনের শাস্তি হলুদ কার্ডে পরিণত করেছে, যা আইএসএলে এক নজিরবিহীন ঘটনা। যদিও এটা প্রথমবার নয়। কিন্তু এর ফলে, জর্ডন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন। চেন্নাইয়িনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে। ক্লাবের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “৩০ জানুয়ারি কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে উইলমার জর্ডনের লাল কার্ড দেখার পর ক্লাব আপত্তি জানিয়ে আবেদন করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই শাস্তি কমানো হয়েছে।”
যদিও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য এক বড় ধাক্কা। গত কয়েকদিনে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বারবার আইএসএল ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। তাদের দাবি ছিল, আইএসএল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একাধিকবার খারাপ রেফারিংয়ের কারণে তাদের দলের অধিকার খর্ব হয়েছে। এবার সেই প্রতিবাদের মধ্যেই চেন্নাইয়িন এফসির স্ট্রাইকারের শাস্তি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের জন্য বড় এক আঘাত হিসেবে এসেছে।
উল্লেখ্য, চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, উইলমারের উপস্থিতি তাদের জন্য এক বড় সুবিধা হতে পারে। যদি জর্ডন খেলতে না পারতেন, তাহলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে আরও এক সুযোগ থাকত। তবে এখন এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও, ক্লাবটি কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামতে চলেছে। এদিকে, ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন, এটি শুধুমাত্র একটি পক্ষের সুবিধা প্রদানে সহায়তা করছে এবং যার ফলে প্রতিযোগিতার ন্যায্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।