CAN: নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ হলেন পুবুদু দাসানায়েকে

Sports desk: নেপালের পুরুষ ক্রিকেট (CAN) দলের হেডকোচ হিসেবে নির্বাচিত হলেন পুবুদু দাসানায়েকে (Pubudu Dassanayake)৷ ভারপ্রাপ্ত সচিব – প্রশান্ত বিক্রম মাল্লার নেতৃত্বে এবং কোষাধ্যক্ষ –…

pubudu dassanayake

Sports desk: নেপালের পুরুষ ক্রিকেট (CAN) দলের হেডকোচ হিসেবে নির্বাচিত হলেন পুবুদু দাসানায়েকে (Pubudu Dassanayake)৷ ভারপ্রাপ্ত সচিব – প্রশান্ত বিক্রম মাল্লার নেতৃত্বে এবং কোষাধ্যক্ষ – রোশন কুমার সিং, জেনারেল ম্যানেজার – রৌনক বি. মাল্লা এবং ক্রিকেট ম্যানেজার – বিনোদ কুমার দাসের সমন্বয়ে গঠিত কোচ নিয়োগ কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে পুবুদু দাসানায়েককে নেপালের পুরুষ ক্রিকেট দলের হেডকোচ হিসেবে নির্বাচিত করেছে। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৯৯৩ সালের ২৫ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে অভিষেক ঘটেছিল ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পুবুদ দাসানায়েকের।১৯৯৪ সালের ২০ অক্টোবর জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দাসানায়েকে শেষ আন্তজার্তিক টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন।

ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ নেপাল (CAN) চলতি বছরের গত ১৮ অক্টোবর নেপালের জাতীয় ক্রিকেট টিমের হেডকোচ (পুরুষদের) পদের জন্য আবেদন আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং মোট ৬০ টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। কোচ নিয়োগ কমিটি সাক্ষাৎকারের জন্য ৭ জন প্রার্থীকে শর্টলিস্ট করেছিল, যার পরে বোর্ডে দাসানায়েকের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। শনিবার সকালে ভার্চুয়াল বোর্ড সভায় কোচ নিয়োগ কমিটির এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। CAN প্রেসিডেন্ট চতুর বাহাদুর চাঁদ বলেছেন, “CAN পুবুদু দাসানায়েককে হেডকোচ (পুরুষ দল) হিসেবে স্বাগত জানায়।”

CAN প্রেসিডেন্টের কথায়, “আমরা তার সহযোগী ক্রিকেটের অন্তর্দৃষ্টি, নেপাল ক্রিকেটে অবদানের পাশাপাশি খেলোয়াড় ও ভক্তদের আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকার করি। আমি আশাবাদী যে তার ২ বছরের মেয়াদ নেপাল ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”

চতুর বাহাদুর চাঁদ আরও বলেছেন, “হেডকোচ আন্তর্জাতিক স্তরে সমস্ত ফর্ম্যাটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তৈরি করার জন্য পুরুষদের ক্রিকেট দলের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়ী থাকবেন। বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করে সুগঠিত ও প্রগতিশীল কোচিং প্রোগ্রাম ডিজাইন ও প্রদানের জন্য তিনি ক্রিকেট ম্যানেজারের সাথে ঘনিষ্ঠ পরামর্শে কাজ করবেন।”

নব নিযুক্ত নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দল (পুরুষ) বিভাগের হেডকোচ পুবুদু দাসানায়েকে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “নেপালের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাথে কাজ করার এই সুযোগ পেয়ে আমি কেবল সন্তুষ্ট এবং ধন্য। আমি আশাবাদী যে আমি এখন নেপাল ক্রিকেটকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব, কারণ আমাদের শুধু সিনিয়র লেভেলেই নয়, জুনিয়র লেভেলেও অসাধারণ প্রতিভা রয়েছে।”

শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার দাসানায়েকে এও বলেছেন, “আমি নেপালের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং পুরো ব্যবস্থাপনা, নেপালের ক্রিকেট ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এই চমৎকার সুযোগ দেওয়ার জন্য।”

শ্রীলঙ্কার হয়ে ১১ টি আন্তজার্তিক টেস্ট ম্যাচে পুবুদু দাসানায়েকে ১৭ টি ইনিংসে কোনও শতরান এবং অর্ধশতরান করেননি।মোট রান টেস্টে ১৯৬। ১৬ টি ওয়ানডে ম্যাচের টিমে ছিলেন দাসানায়েকে শ্রীলঙ্কার হয়ে। ১০৮ টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পুবুদু দাসানায়েকে ৩৮৪০ রান করেছেন, শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে, সর্বোচ্চ রান ১৪৪, এর মধ্যে চার শতরান এবং ২০ টি অর্ধশতরান রয়েছে। লিস্ট ‘A’ ফর্ম্যাটে ৫৮ ম্যাচে মোট ৬৭৯ রান করেন। এই ফর্ম্যাটে একটি অর্ধশতরান করে দাসানায়েকের সর্বোচ্চ রান ৫৩। ৫১ বছর বয়সী পুবুদু দাসানায়েকে কানাডা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়েও ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খেলেছেন।দাসানায়েকে প্রায় ৪

বছর কানাডাকে কোচিং করিয়ে ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়ে কোচিং করান এবং কানাডা তার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ম্যাচ জিতেছিল। বিশ্বকাপের পর, দাসানায়েকের সঙ্গে ক্রিকেট কানাডার চুক্তি নবীকরণ না হওয়ার জন্য ছিটকে যান।

এর আগেও পুবুদু দাসানায়েকের কোচিংয়ে নেপাল ২০১৩ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ ডিভিশন থ্রি জিতেছে। প্রথম পর্যায়ে ৪ বছর নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন পুবুদু দাসানায়েকে। এছাড়াও নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের মেন্টর হিসেবেও কাজ করেছেন দাসানায়েকে। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিথি কোচিং’র দায়িত্ব সামলেছেন, এরই সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে একটি সম্মিলিত আইসিসি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে মার্কিন দলকেও কোচিং করেন। ফের একবার নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের হেডকোচ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পুবুদু দাসানায়েকে।