Calcutta League: রেফারির সিদ্ধান্তে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বিনো জর্জ

এবারের কলকাতা লিগের (Calcutta League) শুরুতে রেনবো এফসির কাছে আটকে গিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। একাধিকবার গোলের সুযোগ এলেও শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য রেখেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল খেলোয়াড়দের।

Bino George

এবারের কলকাতা লিগের (Calcutta League) শুরুতে রেনবো এফসির কাছে আটকে গিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। একাধিকবার গোলের সুযোগ এলেও শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য রেখেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল খেলোয়াড়দের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বিনো জর্জের ছেলেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্টবেঙ্গল পুলিশকে ৪-২ গোলে হারানোর পর তৃতীয় ম্যাচে রেলওয়েকে ১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল ময়দানের এই প্রধান।

যার দরুন আজ জয়ের হ্যাট্রিক করার হাতছানি ছিল ইস্টবেঙ্গলের। সেইমতো ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই যথেষ্ট লড়াকু মেজাজে দেখা গিয়েছিল দলের ফুটবলারদের। তবে প্রথমার্ধে গোলের দেখা না মিললেও দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণের মধ্যেই দূরন্ত ফ্রিকিক থেকে গোল তুলে আনে দলের তারকা ফুটবলার দীপ সাহা। যারফলে, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে এসে গোল করে দলকে সমতায় ফেরায় বিএসএস দলের তারকা ফুটবলার সৌরভ সেন। শেষপর্যন্ত ১-১ ফলাফল রেখেই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলের ফুটবলারদের। যা দেখে খুব একটা খুশি নয় লাল-হলুদ সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় লাল-হলুদ জুনিয়র দলের কোচ বিনো জর্জকে। আসলে আজ ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দরুন লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল দলের ভরসাযোগ্য ফুটবলার তুহিন দাসকে। যা কিছুতেই ভালোভাবে নেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ।

তবে ম্যাচে আটকে যাওয়ার বিষয়ে এই কার্ড ইস্যুকে খুব একটা আমোল না দিলেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় সন্তোষ ট্রফি জয়ী এই কোচকে। তার কথায়, কিছু কিছু সময় রেফারির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গোটা ম্যাচকে শেষ করে দেয়। আসলে আজ ম্যাচের অধিকাংশ সময়ই ১০ জন ফুটবলার নিয়ে লড়াই চালাতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। সেইসাথে বেশকিছু গোলের সুযোগ ও হাতছাড়া হয়েছে দলের ফুটবলারদের। নাহলে অনায়াসেই তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত অতুলরা।