বলিউডের (Bollywood) সিনেমার দুনিয়ায় স্পোর্টস বায়োপিকগুলোর (Sports Biopic) জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এ ধরনের চলচ্চিত্রগুলো শুধু যে ক্রীড়াবিদদের জীবন কাহিনী তুলে ধরে, তা নয় বরং সমাজে স্পোর্টসের গুরুত্ব এবং ক্রীড়াবিদদের সংগ্রামকেও তুলে ধরে। মেরি কম, এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি, এবং ভাগ মিলখা ভাগের মতো ছবি এ রকম উদাহরণ। সম্প্রতি, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর উপর একটি বায়োপিক ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ আসছে, যেখানে অনুষ্কা শর্মা প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করছেন।
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের আগে সুখবর ঋষভ পন্থের
এবার আলোচনা হচ্ছে অলিম্পিকে পদকজয়ী নীরজ চোপড়ার (Neeraj Chopra) বায়োপিক নিয়ে। নীরজ চোপড়া, যিনি জ্যাভলিন থ্রোতে টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণ এবং প্যারিস অলিম্পিকে রুপোর পদক জিতেছেন। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল তাঁকে নিয়ে বলিউডে এক সিনেমা তৈরি করা হবে। তবে, তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে তাঁর উপর বায়োপিক তৈরি হলে তাঁর চরিত্রে কোন অভিনেতা অভিনয় করবেন।
East Bengal FC : ওডিশা ম্যাচ হেরে দলের ফুটবলারদের দুষলেন অস্কার!
নীরজ চোপড়া বলেছিলেন, “আমি মনে করি একজন ব্যক্তি অবসর নেওয়ার পর তাঁর ওপর বায়োপিক তৈরি করা উচিত।” নীরজ চোপড়ার বায়োপিক যদি হয়, তবে তা কেবল তার ক্রীড়া জীবনের গল্প নয়, বরং ভারতীয় ক্রীড়া সংস্কৃতির উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। তিনি দেশের জন্য যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর একটি মাধ্যম হবে। তিনি বলেন, “আমরা সিনেমাগুলিকে মাইলফলক তৈরি করতে দেখেছি। কিন্তু আমার মতে, আপনি আপনার ক্যারিয়ারে যত বেশি যোগ করতে পারবেন, দেশের জন্য কিছু করতে পারবেন এবং আমাদের দেশে জ্যাভলিনকে আরও জনপ্রিয় করতে পারবেন, ততই ভাল হবে।”
India Football Team : লক্ষ্য এশিয়ান কাপ ২০২৫, ব্রুনইকে দুরমুশ ভারতের
এই বিয়োপিক নিয়ে তিনি খোলসা করেছেন তাঁর চরিত্রে কাকে তিনি পছন্দ করেছেন। এই বিষয়ে নীরজ চোপড়া বলেছেন, “আমি কেবল রণদীপ হুডার (Randeep Hooda) কথাই ভাবতে পারি। তিনি একজন দুর্দান্ত অভিনেতা এবং তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে যিনি ভূমিকা পালন করেন, তিনি সঠিকভাবে স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন।” রণদীপ হুডা সত্যিই একজন দক্ষ অভিনেতা, যিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে সফলতা অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লজ্জার হার ভারতের, নিশ্চিত করল সেমিফাইনাল
বায়োপিকের মাধ্যমে নীরজের সংগ্রাম এবং তার সফলতার গল্পটি দর্শকদের জন্য একটি প্রেরণা হতে পারে। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে দর্শকরা জানতে পারবে, কীভাবে নীরজ চোপড়া কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বর্ণপদক জিতেছেন এবং কীভাবে তিনি অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি রোল মডেল হয়ে উঠেছেন।
শেষমেশ, নীরজ চোপড়ার বায়োপিক শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং এটি ভারতীয় ক্রীড়া সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। এই সিনেমা আমাদের নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হবে এবং ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য দিক উন্মোচন করবে। স্পষ্টতই, নীরজ চোপড়ার বায়োপিক যদি হয়, তা সবার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।