এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের শুরু থেকেই চোট আঘাতের সমস্যায় ভুগছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দল। গত কয়েক মাস আগে শেষ হওয়া রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগে খেলে আসা ফুটবলারদের সামনে রেখে এবারের কলকাতা লিগ খেলার কথা থাকলেও বিবিধ চোট আঘাতের সমস্যার দরুন দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে বহু ফুটবলারদের। যাদের মধ্যে অন্যতম জেসিন টিকে।
রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগের গোটা মরশুম জুড়ে লাল-হলুদ জার্সিতে মাঠে দাপট দেখিয়ে আসলেও চিকেন পক্সের জন্য দল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল জেসিনকে। এছাড়াও অনুশীলন চলাকালীন পায়ে গুরুতর চোট পাওয়ার দরুণ মাসখানেকের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় আরেক তারকা ফুটবলার মহম্মদ রোশেলকে। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রথম একাদশ তৈরি করতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটে যায় লাল-হলুদ কোচের।
তবে পরবর্তীতে বিশেষ ট্রায়ালের মাধ্যমে একাধিক ফুটবলারদের চূড়ান্ত করে ইস্টবেঙ্গল দল। যেখানে ভিন রাজ্যের একাধিক ফুটবলারদের পাশাপাশি রামকৃষ্ণ মিশন ফুটবল অ্যাকাডেমির একাধিক প্রতিভাবানকে দলে টেনে নেয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যাদের মধ্যে রয়েছেন অভিষেক কুঞ্জম থেকে শুরু করে রাজিবুল মিস্ত্রির মতো প্রতিভাবান তারকারা। এছাড়াও পরবর্তীতে ভানলালপেকা গুইতে থেকে শুরু করে গুরনাজ সিংয়ের মতো ফুটবলারদের ও দলে চূড়ান্ত করে ম্যানেজমেন্ট।
বর্তমানে ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট লিগ খেলে আসা তারকা ফুটবলার আমন সিকে, দ্বীপ সাহা, কুশ ছেত্রী ও আদিত্য পাত্রের মতো প্রতিভাবানদের পাশাপাশি একাধিক নতুন মুখকে সামনে রেখে কলকাতা লিগে লড়াই করছে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দল। শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও সময়ের সাথে সাথে জয়ের সরনীতে আসে ইস্টবেঙ্গল। এখনো পর্যন্ত অপরাজিত থাকার পাশাপাশি দুই ম্যাচে ১০ গোল করার রেকর্ড সহজেই মন জিতেছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। এই নিয়েই এবার মুখ খুললেন ভবানীপুর দলের কোচ রঞ্জন চৌধুরী।
লাল-হলুদের দলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “এটা ডেভলপমেন্ট দল। এক্ষেত্রে জয়ের পাশাপাশি বেশকিছু ম্যাচ ড্র হবে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে দলের ছেলেদের অনেক উন্নতি করার অবকাশ রয়েছে। আমি মনে করি এই দল থেকে আগামী দিনে বেশকিছু ছেলে আইএসএলে খেলতে পারবে।” বলাবাহুল্য, এই নয়া ফুটবলারদের নিয়েই এবার নতুন করে আশায় বুধ বাঁধছে আপামর লাল-হলুদ জনতা।