অভূতপূর্ব পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে এবারের সিজন শুরু করেছিল বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। কলকাতা ময়দানের অন্যতম ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করেছিল আইএসএলের প্রথম ম্যাচেই। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি ম্যাচে সেই ধারা বজায় থাকলেও তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছিল বেশ কিছু ম্যাচে। স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়েছিল পয়েন্ট টেবিলে। সেই হতাশা কাটিয়ে এই বছরের প্রথম থেকেই জয়ের মুখ দেখার ভাবনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। নতুন বছরের প্রথমেই ধাক্কা খেতে হয়েছিল জামশেদপুর এফসির কাছে। তারপর টানা পাঁচটি ম্যাচে ধাক্কা। যারফলে সুপার সিক্সে সুযোগ করে নেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা।
তবে গত ফেব্রুয়ারি থেকেই পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল দল। শক্তিশালী চেন্নাইয়িন এফসিকে পরাজিত করে দেশের এই প্রথম ডিভিশন লিগের প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছিল আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাব। তারপর দুইটি নিয়মরক্ষার ম্যাচকে একেবারেই হালকা ভাবে নেয়নি কর্নাটকের এই ফুটবল ক্লাব। দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে ছিল সকলেই। পরবর্তীতে সেভাবেই দুরন্ত ছন্দে দেখা গিয়েছিল সুনীল ছেত্রীদের। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দেশের প্রথম ডিভিশনের ফুটবল লিগ তথা আইএসএলের ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময় জেমি ম্যাকলারেনের গোল বদলে দেয় সমস্ত কিছু। এমন পরিস্থিতিতে কলিঙ্গ সুপার কাপে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। আইলিগের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব ইন্টার কাশীর কাছে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সমর্থকরা। এমন পারফরম্যান্স কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সমর্থকরা। সিজন শুরুর আগে একের পর এক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের দলে টেনেও চূড়ান্ত সাফল্য না আসায় হতাশা দেখা দিয়েছিল ম্যানেজমেন্টের অন্দরে। তবে এই সমস্ত কিছু ভুলে নতুন সিজনের জন্য নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে এই ফুটবল ক্লাব।
সেক্ষেত্রে বেশ কিছু বদল দেখা যেতে পারে দলের অন্দরে। পাশাপাশি চুক্তি বাড়ানো হতে পারে কয়েকজন হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের সঙ্গে। যাদের মধ্যে এবার ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে রায়ান উইলিয়ামস এবং এডগার মেন্ডেজের নাম। বলাবাহুল্য, এবারের এই ফুটবল সিজনে যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই দুই তারকা। এই সিজনে মোট বাইশটি ম্যাচ খেলেছেন রায়ান উইলিয়ামস। যার মধ্যে ৭টি গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্ট থেকেছে এই উইঙ্গারের। অপরদিকে, সিজন জুড়ে ৯টি গোলের পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্ট থেকেছে এডগার মেন্ডেজের। হিসাব বলছে, এই মে মাসেই বেঙ্গালুরুর সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে দুই ফুটবলারের। তবে নয়া তথ্য অনুযায়ী আরও একটি মরসুমের জন্য তাঁদের দলে রাখার কথা ভাবছে ম্যানেজমেন্ট।