Shanti Mullick : জাতীয় দলকে দু’বার AFC Cup ফাইনালে তোলা কালীঘাটের শান্তিকে ভুলেছে বাংলা

ক্রীড়াপ্রেমীরা ভুলতে বসেছেন শান্তি মল্লিকের  (Shanti Mullick) নাম। কলকাতার আপন কালীঘাটের মেয়ে তিনি। অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম মহিলা ফুটবলার। জাতীয় দলকে দু’বার তুলেছিলেন এএফসি কাপের…

shanti mullick

ক্রীড়াপ্রেমীরা ভুলতে বসেছেন শান্তি মল্লিকের  (Shanti Mullick) নাম। কলকাতার আপন কালীঘাটের মেয়ে তিনি। অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম মহিলা ফুটবলার। জাতীয় দলকে দু’বার তুলেছিলেন এএফসি কাপের (AFC Cup) ফাইনালে।

সম্প্রতি বেশ সাড়া জাগিয়েছে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দল। সাড়া আগেও জাগিয়েছিল। একাধিকবার। মেয়েরাও ফুটবল খেলতে পারে এই ভাবনাটাই ছিল না অনেকের মধ্যে। ফলত ইচ্ছা থাকলেও হয়তো অনেকেই তা প্রকাশ করেননি। শান্তি মল্লিক পেরেছিলেন কারণ তাঁর পাশে বাবা, মা দু’জনেই ছিলেন। ভ্রু কুঁচকেছিলেন আত্মীয়রা- মেয়ে হয়ে ফুটবল খেলবে! এ কেমন কথা হে।

শান্তি মল্লিকের বাবা ছিলেন মিলিটারিতে। নিজেও চুটিয়ে ফুটবল খেলেছিলেন এক সময়ে। “আমার বাবা সকলের বিরুদ্ধে গিয়ে বলেছিলেন মেয়েরাও ফুটবল খেলতে পারে। বাড়ির ভারী ভারী কাজ করতে পারলে ফুটবলও খেলতে পারবে”, বাবার সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন শান্তি মল্লিক।

ভারতে মহিলাদের ফুটবল শুরু হয়েছিল অনেক পরে। ১৯৭০-এর শুরু দিকে। পারিবারিক, সামাজিক সমস্যার পাশাপাশি ছিল আর্থিক সমস্যা। যখন প্রথম মহিলা এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল তখন ভারতীয় মহিলা ফুটবল পরিচালনা করত ‘উইমেন্স ফুটবল ফেডারেশন’ (WFFI)। ফিফা তখনও স্বীকৃতি দেয়নি ফেডারেশনকে।

বহু সমস্যার মধ্যেও মাঠ আঁকড়ে ছিলেন মল্লিক বাড়ির মেয়ে। জাতীয় দলকে দিয়েছিলেন নেতৃত্ব। শান্তি মল্লিকদের সময়েই ভারতীয় মহিলা ফুটবলের সোনালী সময় হিসেবে ধরা হয়। ১৯৭৯ এবং ১৯৮৩ সালে এএফসি কাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত।

“আমি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়ক ছিলাম। এই সময়কালে আমরা এশিয়ান কাপ সহ অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি। শুক্লা দত্ত, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার এবং আমি – আমরা তিনজনই এশিয়ান অল-স্টার দলে ছিলাম। আমরা এশিয়ান কাপে দ্বিতীয় স্থানে ছিলাম। তবে ফেডারেশন থেকে আমরা কখনো কিছুই পাইনি। এমনকি ভালো জার্সি, কিট বা ক্যাম্পও পাইনি। কিন্তু আমরা কখনোই আমাদের সেরাটা দেওয়া বন্ধ করিনি”, সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শান্তি।

তাঁর আক্ষেপ, ভারতে এখনও উইমেন্স স্পোর্টসকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। ছেলেদের খেলাধুলা নিতে বেশি মাতামাতি। তবে তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন। এখনও বিশ্বাস করেন লড়াই থামালে চলবে না। কোচিং করান এখন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুঁজে নেন তাঁর সাধনাকে।