Sports desk: ১৯৮৯ এর ১৫ নভেম্বর আজকের দিনে ভারতের ব্যাটসম্যান সচিন তেন্ডুলকর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে করাচিতে অনুষ্ঠিত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টেস্ট ম্যাচে তেন্ডুলকরের অভিষেক হয়েছিল। একই ম্যাচে পাকিস্তানের পেসার ওয়াকার ইউনিসেরও অভিষেক হয়েছিল। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছিল। এই বিশেষ টেস্ট ম্যাচে, প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫ রানে ওয়াকার ইউনিসের হাতে আউট হয়েছিলেন তেন্ডুলকর।
বছরের পর বছর ধরে, তেন্ডুলকর বাইশ গজে ঘাম ঝড়িয়েছেন। বিপক্ষ বোলারদের চোখে চোখ রেখে, তাদের ডেলিভারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতিটি ডেলিভারিকে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে পিটিয়ে শাসন করে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান’ হিসাবে ইতিহাসের পাতায় নাম করেছেন এবং তিনি ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ নামে ডাকনামও পেয়েছেন।
তেন্ডুলকর, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন এবং আজ পর্যন্ত, সচিন টেস্ট এবং ওডিআই উভয় ফর্ম্যাটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও রয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের ঝুলিতে।
তেন্ডুলকর ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে আইসিসি হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ৪৬ বছর বয়সী ১৬ বছর বয়সে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল এবং দুরন্ত গতিতে দেশের প্রিয় ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন।
এমন এক ঐতিহাসিক দিনকে স্মরণ করে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) নিজেদের অফিসিয়াল টুইটে এক আবেগঘন মুহুর্ত পোস্ট করেছে। ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ সচিন তেন্ডুলকরের বাইশ গজে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করাচি টেস্টে অভিষেক মুহুর্ত এবং মুম্বইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সচিনের আন্তজার্তিক ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচের পর্দাপণের মুহুর্তকে কুর্নিশ জানাতে ভোলেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআই’র টুইট পোস্ট “এই দিনে
1989: @sachin_rt তার #TeamIndia আত্মপ্রকাশ করেছিল।
2013: কিংবদন্তি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবারের মতো ব্যাট করতে বেরিয়েছিলেন।”
<
p style=”text-align: justify;”>ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাট জুড়ে মোট ৩৪,৩৫৭ রান করেছেন, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারার চেয়ে ৬.০০০ রানের বেশি। মাস্টার ব্লাস্টার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর হিসেবেও কাজ করেছেন।