নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপের কারণে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা শীর্ষস্থানীয় এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখকে (anil deshmukh) ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। আর্থিক তছরুপের কারণে চলতি মাসের ১ তারিখে অনিলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ed)।
সোমবার অনিলকে আদালতে তোলা হলে আদালত অনিলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য , ৬ নভেম্বর ৭১ বছর বয়সি অনিলকে অবকাশকালীন আদালতে ইডি নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে অনিলকে সাত দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার তাঁকে ফের আদালতে (court) তোলা হয়।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল অর্থ তছরুপ ও তোলাবাজির ঘটনায় জড়িত। বর্তমানে সাসপেন্ড হওয়া পুলিশকর্তা শচীন (sachin) ওয়াজেকে মুম্বইয়ের বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও ব্যবসায়ীদের থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশমুখ।
ঘুষ নেওয়া ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে চলতি বছরের শুরুতেই অনিলকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। ইডির তদন্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনিল বম্বে (bombay) হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টে তাঁর সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। যদিও অনিলের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরিতার্থ করতেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
<
p style=”text-align: justify;”>উল্লেখ্য, অনিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন পরমবীর (parambeer)। তাঁর নামের জারি হয়েছে লুক আঙট নোটিস look-out । পরমবীরের বিরুদ্ধেও একাধিক তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে দেশমুখ অবশ্য গত সপ্তাহে বলেছিলেন, যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন এখন তাঁরই কোন পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং ওই অফিসারের বিরুদ্ধেই তাঁর দফতর থেকে একাধিক মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে পলাতক ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। পরমবীর সিংকে পলাতক ঘোষণা করার আইনি প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে পরমবীর নিখোঁজ। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পরমবীরকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বোমাতঙ্কের মামলায় যথাযথ তদন্ত না করার জন্য পরমবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র দফতর। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে এনসিপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।