গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ১-২ ব্যবধানে টেস্ট হেরে যাওয়ার পরই নেতৃত্ব ছেড়ে দেন কোহলি। এর পরই অধিনায়কের দায়িত্ব পান রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এর আগে টি টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিরাট কোহলিকে, পরে ছেড়ে দেন ওডিআইয়ের দায়িত্বও। ফলে সে দায়িত্বও নিতে হয় রোহিতকেই।
এই রোহিতের নেতৃত্বেই ঘরের মাঠে ২-০তে শ্রীলঙ্কাকে হারায় ভারত। কিন্তু করোনা হওয়ায় ইংল্যান্ডে এবং আঙুলে চোট পাওয়ায় বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে ২-১ এ টেস্ট সিরিজ হারিয়ে দেয় ভারত। কিন্তু সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই টেস্ট বিশ্বকাপ হেরে যায় রোহিতের দল। তখন থেকেই রোহিতের অধিনায়কত্ব নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “বোর্ডের সেই সময়ের সব থেকে উপরে থাকা দু’জন ব্যক্তি রোহিতকে রাজি করান নেতা হওয়ার জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকায় লোকেশ রাহুল নেতা হিসাবে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই রোহিতকেই রাজি করানো হয়।”
তিনি আরো বলেন, “রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হবে বলে যে খবর শোনা যাচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। এটা ঠিক যে, আগামী দু’বছর রোহিতকে পাওয়া যাবে কি না সেটা স্পষ্ট নয়। কারণ ২০২৫ সালে রোহিতের ৩৮ বছর বয়স হয়ে যাবে। তবে রোহিত আগামী দিনে খেলবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন শিবসুন্দর দাস এবং নির্বাচক কমিটির বাকিরা। রোহিতের ব্যাটিং ছন্দ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর আমাদের ডিসেম্বরের আগে কোনও টেস্ট নেই। বছরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবে ভারত। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনেক সময় পাবেন নির্বাচকরা। সেই সময়ের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচকও পেয়ে যাবে ভারত।”