কামব্যাক করে মেলবোর্নের ২২ গজে বুমরাহ সঙ্গে জুটি বাঁধবেন শামি!

ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) তারকা পেসার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) দীর্ঘ ৩০০ দিন পর মাঠে ফিরেছেন, যা তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের জন্য একটি বড়…

Indian Bowler Mohammed Shami with Jasprit Bumrah will be played against Australia

ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) তারকা পেসার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) দীর্ঘ ৩০০ দিন পর মাঠে ফিরেছেন, যা তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের জন্য একটি বড় ঘটনা। একদিনের বিশ্বকাপ থেকে চোটের কারণে এক বছরের বেশি সময় বাইরে থাকার পর তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরে দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শন করেছেন। শামির এই প্রত্যাবর্তন ক্রিকেট বিশ্বে অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সিরিজের দুই ম্যাচ বাকি থাকতে থাকতে অনেকেই আশা করছেন, শামি শীঘ্রই জাতীয় দলে ফিরবেন এবং অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে (Border Gavaskar Trophy) তাঁর খেলা দেখার সুযোগ পাবেন। বক্সিং-ডে টেস্ট অর্থাৎ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে (4th Test India vs Australia) ভারতীয় দুই তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ শামি জুটি বাঁধবেন কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে।

হায়দরাবাদকে পরাজিত করার বিষয়‌ কী বললেন বেনালি‌?

   

শামির এই প্রত্যাবর্তনের শুরু হয় রঞ্জি ট্রফির মাধ্যমে। বল হাতে বাংলার হয়ে প্রথম ম্যাচে ইন্দোরের বিরুদ্ধে মাঠে নামেন তিনি। তাঁর কামব্যাকটি এমনভাবে ঘটে যে, প্রথম ম্যাচেই তিনি ৭ উইকেট নেন। শুধু বোলিংয়ে নয়, ব্যাটিংয়ে করেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। তাঁর এই অসাধারণ পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে খেলার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে তোলে। বিশেষত, অ্যাডিলেডে ভারতীয় দলের হারের পর তাঁর জাতীয় দলে ফেরার আশা আরও বেড়ে যায়।

প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল যে, শামি অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টের আগেই জাতীয় দলে ডাক পাবেন। তবে, সেটা হয়নি। ভারতীয় দলের অধিনায়ক (Indian Captain) রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) শামির দলে ফেরার বিষয়ে আশাবাদী হলেও, তাঁর পা ও হাঁটুর চোট নিয়ে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় রোহিত জানিয়েছিলেন, তাঁরা শামিকে দলে ফেরানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করতে চান না। তিনি বলেন, “আমরা চাই ১০০% নিশ্চিত হতে, কারণ এটা দীর্ঘ সময়ের মধ্যে একটি ফিরতি ঘটনা। আমরা শামিকে চাপের মধ্যে ফেলতে চাই না, যেন তিনি ফিট না হয়ে দলে ফিরে আসেন।”

টানা তিনবার! ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নয়া ইতিহাস আলাদিনের

রোহিত শর্মার মতে, বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা শামির প্রতি ম্যাচের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করবেন এবং এরপরই তিনি জাতীয় দলে ফিরবেন। দলের ফিজিওথেরাপিস্ট এবং অন্যান্য মেডিক্যাল স্টাফরা শামির শারীরিক অবস্থা দেখে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে রোহিত জানিয়েছেন যে, শামির জন্য দরজা সব সময় খোলা রয়েছে এবং তাঁকে যে কোনো সময় দলে ফিরতে দেওয়া হবে।

শামির দীর্ঘ সময়ের পর মাঠে ফিরে আসা শুধু ক্রিকেট ভক্তদের জন্যই নয়, ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্যও একটি আনন্দের বিষয়। তাঁর গতিময় বোলিং এবং আক্রমণাত্মক ফিটনেস তাকে বিশেষভাবে আলাদা করে তোলে। তাঁর দুর্দান্ত গতির বোলিং ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষত, অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে তাঁর উপস্থিতি দলের বোলিং বিভাগে একটি শক্তিশালী অস্ত্র হতে পারে।

বড় ধাক্কা! পাঞ্জাব ম্যাচে অনিশ্চিত বাগানের তিন ফুটবলার

শামির প্রত্যাবর্তন কেবলমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত কাহিনী নয়, বরং এটি ভারতের ক্রিকেট দলের পেস আক্রমণের শক্তি পুনরুদ্ধারের এক নতুন দিগন্তও খুলে দিয়েছে। শামির মতো অভিজ্ঞ বোলার দলের মধ্যে বিশাল সমর্থন যোগাতে সক্ষম। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে তাঁর বোলিং দক্ষতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, তা আগামী দিনগুলোতেই পরিষ্কার হবে।

শেষমেশ, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি বিসিসিআইয়ের উপর নির্ভর করছিল। তারা শামির ফিটনেস পরীক্ষা করে পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেবে, সেই দিকে তাকিয়ে ছিলেন শামির ভক্ত থেকে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। কারণ, এক দিনের বিশ্বকাপের সব থেকে বেশি উইকেট শিকারী যেহেতু আবার মাঠে ফিরেছেন, তাঁর খেলা দেখা আর অনুরাগীদের কাছে একটি আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রত্যাবর্তন ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য একটি বড় জয়ের পূর্বাভাস হতে পারে এবং ভবিষ্যতে শামি তাঁর ক্যারিয়ারে নতুন সাফল্য অর্জন করবেন, এমন আশা জেগেছে।

চেন্নাইয়িন ছাড়তে পারেন এই ভারতীয় মিডফিল্ডার, জানুন

সেক্ষেত্রে এবার বিসিসিআইয়ের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হল এখনও পুরোপুরি ফিট নন জাতীয় দলের তারকা ডানহাতি পেসার। হাঁটুর সমস্যায় এখনও ভুগছেন শামি। বারবার হাঁটু ফুলে যাচ্ছে তাঁর। গোড়ালির সমস্যায় ভুগছিলেন। তা সেরে উঠেছে। এবার নতুন করে হাঁটুর সমস্যায় ভোগা শুরু বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা শামির। ওয়ার্কলোড একটু বেশি হলেই হাঁটু বারবার ফুলে যাচ্ছে। একসঙ্গে অনেকগুলো ওভার করলেই বা দীর্ঘ সময় পর বোলিং করতে এলে বারবার এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।