spots desk: সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড(বিসিসিআই) সিদ্ধান্ত নিয়েছে খেলোয়াড়দের ফিটনেস বজায় রাখার জন্য ডায়েট প্ল্যানে হালাল মিট তালিকাভুক্ত করা হবে। হালাল হলো বিশেষ রীতিতে মাংস কাটা। এই রীতি ব্যবহার করে থাকেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা।
বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত হালাল মাংস খাওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার জুড়ে #BCCI_Promotes_Halal প্রতিবাদের সুনামি আছড়ে পড়তে শুরু করেছে।
বেঙ্গালুরুর কিরন আরাধ্যা নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেলে এই ইস্যুতে পোস্টে লিখেছে,”আমরা বিসিসিআইকে হাইজেনিক মাংসের চেয়ে হালাল (গ্রহণ) মাংসের সুবিধা জিজ্ঞাসা করেছি!! আমরাও এই ডায়েট প্ল্যানের জনক জানতে আগ্রহী।
#BCCI_Promotes_Halal”
তথ্য জানার অধিকার আইনে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা কিরন আরাধ্যা জানতে পেরে হালাল মিট ইস্যুতে টুইট করেছে। ওই আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে,বিসিসিআই খেলোয়াড়দের ডায়েট প্ল্যানে নতুন করে হালাল মিট তালিকাভুক্ত করেছে,কারণ এর ফলে খেলোয়াড়দের ফিটনেস বজায় থাকবে। সঙ্গে নন হালাল মিট খেলোয়াড়দের ফিটনেসের ধারাবাহিতা ধরে রাখিতে পারেনা বলে ওই আরটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিসিসিআই অবিলম্বে এই বেআইনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে,#BCCI_Promotes_Hala এই ইস্যুতে গৌরব গোয়েল চণ্ডীগড় রাজ্য বিজেপি মুখপত্র তথা আইনজীবী টুইটে নিজের ভিডিও বার্তায় বলেছেন,”বিসিসিআই হালাল মিটকে ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ডায়েট প্ল্যানে অন্তর্ভূক্ত করেছে।নতুন নির্দেশে জানা গিয়েছে শুধু হালাল মিট ক্রিকেটারদের খেতে হবে।আমি বিসিসিআইকে জানাতে চাই যে যেকোন খেলোয়াড় যা খুশি খাওয়ার খাক, সেটা তার মর্জি।” এই জায়গাতেই তীব্র বিরোধিতা করে গৌরব গোয়েল বলেছেন টুইটের ভিডিও বার্তায়,”কিন্তু আপনাদের কে অধিকার দিয়েছে হালাল মিটকে খেলোয়াড়দের ডায়েট প্ল্যানে তালিকাভুক্ত করার।”
হুশিয়ারির সুরে টুইটের ভিডিও বার্তায় গৌরব গোয়েল বলেছেন,”এই ধরনের বেআইনি সিদ্ধান্তকে আমরা মেনে নেবো না।বিসিসিআই’র নেওয়া এই বেআইনি সিদ্ধান্ত দেশবাসীও মেনে নেবে না। এই সিদ্ধান্ত দেশহিতৈষী নয়।বোর্ডকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত।”
ভিডিও বার্তায় বলেছেন এও,”এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়, বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি…দ্রুত এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন,জয় হিন্দ,জয় ভারত।”
সন্দীপ সিন্ডে গোয়ার সনাতন স্টাডি সেন্টারের কনভেনর নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেলে হালাল মিট ইস্যুতে পোস্ট করে লিখেছেন,”@bcci দ্বারা চুক্তিবদ্ধ 28 জন খেলোয়াড় আছে
A+ গ্রেড :3
একটি গ্রেড : 10 (1 mu$lim)
বি গ্রেড: 5
সি গ্রেড: 10 (1 mu$lim)
28 টির মধ্যে 2 (3.4%) হল Mu$lims; তবে তাদের জন্য বাকি 26 জন খেলোয়াড়ও হালাল সনদপ্রাপ্ত খাবার পাবেন।
ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে হালাল কেন বাধ্যতামূলক?
#BCCI_Promotes_Halal।”
রমেশ সিন্ডে টুইটে লিখেছেন,
“ভারতে সমান অধিকার??
ভারতের হিন্দু ও শিখ ক্রিকেটারদের উপর ইসলামিক হালাল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন??
@harbhajan_singh @SirJadeja
@তাপসনিয়ামা @গোল্ডেনথ্রাস্ট
#BCCI_PROMOTES_HALAL “
কর্ণাটক হিন্দু জাগৃতি সমিতির রাজ্য কো অর্ডিনেটর গুরুপ্রসাদ গৌডা টুইটে লিখেছেন,”জেগে ওঠা বিসিসিআইয়ের হাঁটু দেখিয়ে টিম ইন্ডিয়া এখন হালাল খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে
বিসিসিআই কি হালাল লবির দিকে ঝুঁকছে?
#BCCI_Promotes_Halal।”
Dear Vegetarians: Why are you worried about what type of meat people eat ?!!
It's none of your business if Indians want to eat halal….!!!
Thanks @bcci for #BCCI_Promotes_Halal 🙏🙏
It's TASTY & GOOD for health 💪 pic.twitter.com/UxIceOzIVd
— Mohd Abdul Sattar (@SattarFarooqui) November 23, 2021
এই ইস্যুতে বিপরীত মতও টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। মানবাধিকার কর্মী মহম্মদ আব্দুল সাত্তার নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেলের পোস্টে লিখেছেন’ “প্রিয় নিরামিষাশী: মানুষ কি ধরনের মাংস খায় তা নিয়ে চিন্তিত কেন?!!
ভারতীয়রা হালাল খেতে চাইলে এটা আপনার কাজ নয়…!!!
#BCCI_Promotes_Halal এর জন্য @bcci কে ধন্যবাদ 🙏🙏
এটা সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো 💪। “
প্রসাদ হালদানকরের টুইট এই নিয়ে,”#BCCI_Promotes_Halaভারতে জাতীয় স্তরে কীভাবে হিন্দু বিরোধী এবং জাতীয় বিরোধী জিনিস চাপিয়ে দেওয়া হয় তার উদাহরণ… “
চৈতন্য প্রভু নিজের টুইটার হ্যাণ্ডেলে হালাল মিট ইস্যুতে পোস্টে লিখেছে,”হালাল প্রক্রিয়া এটিকে একটি স্পষ্ট ধর্মীয়ভাবে বৈষম্যমূলক অভ্যাস করে তোলে অনেকটা অস্পৃশ্যতার মতো এটি শুধুমাত্র একজন মুসলিম পুরুষের দ্বারা সম্পাদন করার অনুমতি রয়েছে। অমুসলিমদের একটি হালাল ফার্মে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয় যা অভ্যন্তরীণভাবে একটি ইসলামিক রীতি। #BCCI_Promotes_Halal। “
Only Halal for Team India ?
Why is @BCCI enforcing 'Halal food only' diktat on non-Muslim cricket players ?
Where are religious beliefs of Hindus in their own nation ?#BCCI_Promotes_Halal pic.twitter.com/Q4UaRWNjbD
— Guruprasad Gowda (@Gp_hjs) November 23, 2021
দেশ জুড়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিভাজনের রাজনীতি, ধর্মীয় মেরুকরণ, লাভ জিহাদ, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে আঘাত, কে কি খাবে-কে কি পোশাক পড়বে তা নিয়ে সমালোচনা, জয়শ্রী রাম স্লোগান নিয়ে তপ্ত বাক্যবিনিময় সহ এই ইস্যুতে গণপিটুনিতে খুন,খুনের চেষ্টার মত গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এখন #BCCI_Promotes_Halal ইস্যুতে সংসদীয় গণতন্ত্রের ভারত রাষ্ট্রের সামাজিক এবং রাজনীতির উঠোনে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ধোয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে তুলেছে।