Bashundhara Kings: বিপিএলে আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা ছোঁয়ার কাছাকাছি বসুন্ধরা

মোত্তাকিন মুন, ঢাকা: টানটান উত্তেজনার অন্য প্রতিশব্দ ছিলো আজ আবাহনী লিমিটেড বনাম বসুন্ধরা কিংসের (Bashundhara Kings) ম্যাচ । ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম আক্রমণেই…

Bashundhara Kings

মোত্তাকিন মুন, ঢাকা: টানটান উত্তেজনার অন্য প্রতিশব্দ ছিলো আজ আবাহনী লিমিটেড বনাম বসুন্ধরা কিংসের (Bashundhara Kings) ম্যাচ । ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম আক্রমণেই গোল তুলে নেয় কিংস। পঞ্চম মিনিটে মিগেল ফিগেইরা দামাশেনোর শট আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম কোনোমতে ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ডিফেন্ডাররাও করতে পারেননি তাদের কাজটুকু। জটলার মধ্যে টোকায় জাল খুঁজে নেন রাকিব।

এরপরই ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্ধে নিজেদের ডিফেন্সকে শক্ত করে গড়ে তোলা শুরু এরপর থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে দাপট দেখায় আবাহনী। ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষও তারা পেল বটে, কিন্তু পারল না কিংসের জয়রথ থামাতে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ শনিবার আবাহনীকে ২-১ গোলে হারায় কিংস। প্রথম লেগের দেখায় ২-০ গোলে জিতেছিল অস্কার ব্রুসনের দল।

   

লিগে ১৪ ম্যাচে ১২ জয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কিংস। পরের ম্যাচে মোহামেডানকে হারাতে পারলেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে  পঞ্চমবারের মতো শিরোপা নিশ্চিত হবে বসুন্দরা কিংসের। সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে আগের ২৫ পয়েন্টে এখন রানার্সআপ হওয়ার লড়াইয়ে থাকতে হবে আবাহনীকে। যদিও মোহামেডান তিন পয়েন্টে এগিয়ে আছে।

কিংস প্রথম  গোল তুলে নেয়ার পর পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টায় সুযোগ তৈরি করতে থাকে আবাহনী । কিন্তু কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর কাছে বারবার পরাস্ত হয়েছেন ওয়াশিংতন, কর্নেলিয়াসরা।  

অষ্টাদশ মিনিটে রক্তাক্ত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জিকোকে। মিলাদ শেখ সোলেমানির ভলি জিকো গ্লাভসে নিতে না পারায় কর্নেলিয়াস ছুটে আসেন শট নিতে, একই সময় বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ফের ঝাঁপিয়ে পড়েন জিকো। কর্নেলিয়াসের বুটে মাথায় আঘাত পান তিনি। কিংসের পোস্ট সামলানোর ভার ওঠে মেহেদি হাসান শ্রাবণের কাঁধে।

আবাহনীর রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৩৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় কিংস। মাঝমাঠে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়া দামাশেনোকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেন সুলেমানি। স্পট কিকে শহিদুলকে বিপরীত দিকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন দামাশেনো।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পেয়ে যায় আবাহনী। ওয়াশিংতন ব্রান্দাওকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন কর্নেলিয়াস। রিমন হোসেনের বাধা কাটিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বাড়ানো ফিরতি পাস রাকিবের পা ছুঁয়ে চলে যায় কর্নেলিয়াসের কাছে। নিখুঁত স্লাইডে বুটের টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। 

দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর আগ্রাসী ফুটবলে কিছুটা কোণঠাসা হড়ে পড়ে কিংস। ৫৬তম মিনিটে মাশুক মিয়া জনি তালগোল পাকিয়ে বল হারালে পেয়ে যান কর্নেলিয়াস। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে শ্রাবণকে একা পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তার শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে চলে যায়। 

দ্বিতীয়ার্ধের এক্সট্রা সময়ে বক্সের বেশ বাইরে থেকে বাম পায়ে শট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়। গোলরক্ষক শ্রাবণকে ফাঁকি দিয়ে বল গিয়ে লাগে ক্রসবারে। শেষমেষে রেফারির বাঁশির শব্দ শুনে হারের  যন্ত্রণা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আবাহনীকে।