দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবেন না বলেই প্রথমে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ (Bangladesh) ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান (shakib al hasan)। যদিও পরবর্তীতে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পরে প্রোটিয়াভূমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চলতি ক্রিকেট মরশুমের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলতে কিউয়িভূমে যাননি তিনি। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, শাকিব মানসিক চাপে আছেন।
একটি চ্যানেলে শাকিবের ক্রিকেট গুরু তথা ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম দাবি করেন, শাকিবের মানসিক অবসাদ এতটাই খারাপ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল যে তিনি নাকি আত্মহননের চেষ্টাও করেছিলেন। করোনাভাইরাস, বায়ো-বাবল আসার পর থেকে ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদে ভোগার হার বেড়েছে। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস অনির্দিষ্টকালের বিরতি ক্রিকেট থেকে নিয়েছিলেন এই কারণেই। টাইগারদের সেরা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসানও মানসিক অবসাদে ভুগেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
ফাহিম-এর কথায়, “আইপিএলের বায়ো-বাবল থেকে আসার পর শাকিবকে দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। তার জন্য শাকিব মানসিকভাবে একেবারে প্রস্তুত ছিল না। ওদের (শাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান) বলা হয়েছিল দু’দিনের কঠোর কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। তারপর তারা নিজেদের বাড়িতে চলে যেতে পারবে। তবে ওকে (শাকিব) ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হয়। যা ওর জন্য প্রাথমিক ধাক্কা ছিল । আমি জানি তখন ও (শাকিব) আত্মহননের চিন্তাভাবনার মধ্যে ছিল।” এবারের আইপিএলের আসরে কোনও দল পাননি শাকিব। এই বিষয়টি ও শাকিবের উপর প্রভাব ফেলেছে। ফাহিমের মতে, “এমন হতেই পারে যে সে নিজেকে ছোটো করে দেখছে। সেটা একটা বড় মানসিক আঘাত হতে পারে। আপনি একজন আর্টিস্ট, যেখানে আপনার জায়গা পাওয়ার দরকার ছিল, নিশ্চিত ছিলেন, তবে সেটা পাননি। আপনি আপনাকে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তাভাবনা করা শুরু করে দিয়েছেন। সেটা আপনাকে খারাপভাবে আঘাত করেছে, এটা হতে পারে কিন্তু। যে কোনও মানুষের জন্য হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মানসিক অবসাদের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে ছ’মাসের ছুটিও চেয়েছিলেন তিনি। বিসিবি তাঁকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রামও দিয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন বলে জানান শাকিব।