রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখল বাংলা (Bangla )। ঝাড়খণ্ডের বিপক্ষে দারুণ শুরু করেছে অরুণ লালের শিষ্যরা। প্রথম দিনই স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৩০১ রান। তাও আবার মাত্র এক উইকেটের বিনিময়ে।
ঝাড়খণ্ডকে একেবারে অবহেলা করার কোনও উপায় নেই। মহেন্দ্র সিং ধোনির পরবর্তী যুগে ব্যাটন হাতে উঠেছে সৌরভ তিওয়ারির। ভারতীয় ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলেও, ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ বড় মুখ তিনি। এছাড়া শাহবাজ নাদিম, অনুকূল রায়ের মতো ভালো মানের স্পিনার রয়েছে তাদের হাতে। এমনকি, টস ভাগ্যও ছিল ঝাড়খণ্ডের পক্ষেই। তবে টসে জিতে প্রথমে বোলিং নিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি তারা।
এদিন অভিষেক রামন এবং অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ওপেনিং জুটিতেই ১৩২ রান তুলে ফেলেন। তবে বাংলার সমর্থকদের পক্ষে খারাপ খবর, গুরুতর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন রামন। ৪১ রান করার পরই চোট পান তিনি। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই বঙ্গ ওপেনার। যদিও ম্যাচ শেষে বাংলার কোচ অরুণ লাল আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এখন রামন অনেকটাই সুস্থ। আগামীকাল ব্যাটিং করার জন্য ও তৈরি।’
রামন উঠে যাওয়ার পরই সুদীপ ঘরামির সঙ্গে ইনিংসকে টানতে থাকেন অভিমন্যু। ৬৫ রান করে বঙ্গ নেতা আউট হলে, অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার সঙ্গ দেন সুদীপকে। একেবারে নিখুঁত ইনিংস খেলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরানটি পূরণ করেন ঘরামি। দিনের শেষে ২০৪ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন সুদীপ। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে অনুষ্টুপও। ১৩৯ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত তিনি। যে ছন্দে ব্যাট করছিলেন, তাতে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তিনি শতরান না পেলেই অবাক হতে হবে। পাশাপাশি ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে ঝাড়খণ্ডের সামনে যে রানের পাহাড় গড়তে চলেছে বাংলা, তা অনুমেয়।