ইউএস ওপেনের (US Open) উইমেন্স সিঙ্গেলস শিরোপা জিতেছেন বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা (Aryna Sabalenka)। এই প্রথম ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতলেন তিনি।
শেষ দিনে ওস্তাদের মার! ভারতের পদক সংখ্যা আরও বাড়তে পারে
এটি সাবালেঙ্কার তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন। এ ছাড়া ২০২১ ও ২০২৩ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনাল এবং ২০২৩ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রয়েছেন দুই নম্বরে। ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলাকে স্ট্রেট সেটে ৭-৫, ৭-৫ গেমে হারিয়ে ইউএস ওপেন জিতেছেন সাবালেঙ্কা।
দ্বিতীয় সেটে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর আবারও ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন পেগুলা। সেট জিততে হলে আর এক পয়েন্ট দরকার ছিল। তবে দারুণ প্রত্যাবর্তন করে টাইব্রেকারে ৭-৫ ব্যবধানে জিতে নেন সাবালেঙ্কা। দু’টি সেটই টাইব্রেকারে জিতেছেন সাবালেঙ্কা। বেলারুশের ২৬ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা ২০১৬ সালে অ্যাঞ্জেলিক কেরবারের পর প্রথম মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে একই মরশুমে দু’টি হার্ডকোর্ট মেজর শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়েন। ২০২৩ সালের ফাইনালে কোকো গাউফের কাছে হেরে গিয়েছিলেন সাবালেঙ্কা।
এদিনের এই ম্যাচ দেখার জন্য কোর্টে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ২৩ হাজার দর্শক। এদের মধ্যে ছিলেন প্যারিস অলিম্পিকের ১০০ মিটারে স্বর্ণজয়ী নোয়া লাইলস, এনবিএ তারকা স্টেফ কারি এবং প্রাক্তন ফর্মুলা ওয়ান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন লুইস হ্যামিল্টন। বেশির ভাগ মানুষই আমেরিকার পেগুলাকে সমর্থন করছিলেন। কিন্তু আরিনা সাবালেঙ্কার অসাধারণ সার্ভ ও শটের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ৩০ বছর বয়সী পেগুলাকে। সাবালেঙ্কার জয়ের পর আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা তাঁকে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দেন।
IPL-এ হিরো, দেশের হয়ে জিরো! নিলামে দর কমতে পারে এই বিদেশির
নিজের প্রথম ম্যাচে পাই হোনকে ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন সাবালেঙ্কা। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে ৬-৩, ৬-১ গেমে হারিয়েছেন ব্রাঞ্জেটিকে। এরপর তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ২-৬, ১-৬, ২-৬ গেমে পোতাজিৎ করেন আলেকজান্দ্রোভাকে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মার্টেন্সকে ৬-২, ৬-৪ গেমে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী ঝেংকে ৬-১, ৬-২ গেমে হারান সাবালেঙ্কা। সেমিফাইনালে ১৩তম বাছাই নাভারোকে ৬-৩, ৭-৬ গেমে পোড়াস করেন সাবালেঙ্কা। পুরো টুর্নামেন্টে আধিপত্য বিস্তার করে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা।