বর্তমানে আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali issue) নিয়ে সরগরম ভারতীয় ক্লাব ফুটবল। ন য়া ফুটবল মরসুমে তাঁর অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। গত কয়েক মাস ধরেই এই ফুটবলারকে নিয়ে রীতিমতো ঠান্ডা লড়াই চলছে মোহন-ইস্টের মধ্যে। গত সিজনে আনোয়ারকে দলে এনেছিল মোহনবাগান। কিন্তু এবার ফিফার লোনের নিয়ম মেনেই আনোয়ারকে ফিরিয়ে নিতে চায় দিল্লি এফসি। এক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মোহনবাগানের সঙ্গে থাকা তাঁর দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি।
সেইসবের মাঝেই জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডারকে পাওয়ার ক্ষেত্রে আসরে নেমে পড়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যা নিয়ে আরো জটিল হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। গত ২রা আগস্ট সেই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতে আলোচনায় বসে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। সেখানে আনোয়ারকে এনওসি দেওয়ার কথা শোনা গেলেও উঠে আসে একাধিক শর্ত। যা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে সকলের মধ্যে।
তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ ফের বৈঠকে বসতে চলেছে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। যেখানে মোহনবাগানের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসির প্রতিনিধি। শুক্রবার রাতে নিজের সোশ্যাল সাইট থেকে সেই কথা তুলে ধরেন রঞ্জিত বাজাজ। যা নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করলেন বাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত।
তিনি বলেন, ‘ আমার মনে হয় ওদের নতুন কর্মকর্তা হয়েছেন রঞ্জিত বাজাজ। কারণ তিনি জানাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল পিএসসির বৈঠকে আসবে। ইস্টবেঙ্গলের অফিসিয়ালদের এই বিষয়টি জানানোর কথা। কিন্তু রঞ্জিত বাজাজ কবে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বে আসল সেটা আমার জানা নেই। হতে পারে নতুন কর্মসমিতিতে তিনি এসেছেন। ইস্টবেঙ্গল সেটা আগে জানায়নি। এটা আমার যথেষ্ট আশ্চর্য লেগেছে। তার মানে উনি ইস্টবেঙ্গলের এজেন্ট। নাহলে কর্মসমিতির সদস্য। বা কোম্পানির ডিরেক্টর।’
আরো বলেন, ‘পিএসসিতে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বসে আছেন। আইন অনুযায়ী তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি চাই কালকের মধ্যেই এর নিষ্পত্তি হোক। যদি একান্ত কালকে নাহয় তাহলে আগামী দুই দিনের মধ্যে হোক। তাতে খেলোয়াড়ের সুবিধা হবে। আমরা কখনো কোনও খেলোয়াড়ের বিরোধী নই। কিন্তু ওকে নিশ্চয় কেউ বাধ্য করেছে অন্যায় কাজ করতে। সেটা সকলের সামনে আসুক।’