ফুটবলে মানচিত্রে চেনা, উত্তর আফ্রিকার দেশ থেকে ক্রিকেটও, আবিষ্কার ভারতীয়র হাতে

মরক্কো (Morocco) ফুটবল (Football) মানচিত্রে চেনা দেশ। উত্তর আফ্রিকার দেশ হতে পারে। আর ফুটবল তো খেলতেই পারে যেহেতু খুব সহজ সরল খেলা। তবে জানেন কি…

Along with football Morocco also plays cricket

মরক্কো (Morocco) ফুটবল (Football) মানচিত্রে চেনা দেশ। উত্তর আফ্রিকার দেশ হতে পারে। আর ফুটবল তো খেলতেই পারে যেহেতু খুব সহজ সরল খেলা। তবে জানেন কি তারা খেলেন ক্রিকেটও (cricket)। আর তা আবিষ্কার হয়েছিল এক ভারতীয়র হাতে।

কিন্তু আমরা কখনো ভাবি নি এই সমস্ত জায়গায় ক্রিকেট চর্চা হয়! আমরা ইস্ট আফ্রিকা সাউথ আফ্রিকার নাম জানি যে সেখানে ক্রিকেট খেলা হয়।কিন্তু মরক্কো ক্রিকেট খেলছে এটা যেন বড্ড বাড়াবাড়ি! এই মরক্কোতে কিছু প্রবাসী ভারতীয়র জন্য সেখানে ক্রিকেট খেলাটা একরকম আবিষ্কার হয়। এরকম একজনের নাম অশোক কৃপালিনী ওখানে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলছিল প্রবাসী ভারতীয়দের সাথে।

সেখানে স্থানীয় মরক্কো বাসি এনানুই ফুটবল খেলতে খেলতে এই অদ্ভুত খেলাটা দেখে আকর্ষিত হয় ঠিক তারপরেই দেবদূত এর মতো এক সময় হাজির হয়  আদ্যাপন্ত জোব্বা পরিহিত সেই মানুষটি যিনি তথাকথিত বড় বড় ক্রিকেট সেন্টার গুলির পাশে হাজির করেছিলেন একটি শহরকে যেখান থেকে ক্রিকেটের গোবলাইজেশন শুরু .. শারজা আর শারজা মানেই আব্দুর রহমান বুখাতির।

Morocco also plays cricket

এদের চেষ্টায় মরক্কোয় ক্রিকেট চর্চা শুরু। শারজা থেকে ক্রিকেট কিটস পাঠানো হলো। ১৯৯৯ সালের আইসিসির এপ্লিফ্লাইড সদস্য হলো। ২০০২ সালে রয়েল মরক্কান ক্রিকেট ফেডারেশন তৈরি হলো। এবং কোচও এলো বিদেশ থেকে। কারা গেছিলেন জানেন? ৮৩’ বিশ্ব জয়ের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ জিমি এবং তার দাদা সুরিন্দর অমরনাথ।

২০০২ সাল মানে দুটো দশক পেরিয়ে গেছে। এই মরক্কোর ট্যাঙ্গিয়ার শহরে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম আরো একটি গ্লোবালাইজেশন ক্রিকেট সেন্টার হয়েছিলো। সেই জোব্বা পরা লোকটা তিনটে দেশকে টেনে নিয়েছিল ওই মরক্কোতে। পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা সাউথ আফ্রিকা মানে ট্রায়াঙ্গলুার সিরিজ। টুর্নামেন্ট দুরন্ত ভাবে হয়েছিল, নাম ছিল ” মরক্কো কাপ”! সনৎ জয়সুরিয়া শুধু দলের অধিনায়ক ছিলেন না , টুর্নামেন্টে পাঁচটি ম্যাচে ২৯৯ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন। ফাইনালে সাউথ আফ্রিকাকে(২০৮/১০) ২৭ রানে পরাজিত করে নিজে একাত্তর রান করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন সনৎ।

এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করে স্থানীয় ক্রিকেটে এসোসিয়েশন আইসিসি কর্ণধার ম্যালকম স্পিড এর পিঠ চাপড়ানি পেয়েছিলো। এই উৎসাহে দ্বিতীয়বার বুখাতীর ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া কে নিয়ে আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় কেননা সেখানে সুইসাইড অ্যাটাক হয়। এই সময় অমরনাথ ভাইরা চলে এলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান গ্যারি কোজিয়ার সেখানে কোচিং করাতে যান এবং তারপরই তারা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে আবির্ভূত হন ২০০৬ সালে। আর এখন তো সেখানে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলা চলে। তাই কারা যেন বলে ক্রিকেট মাত্র ১০-১২টা দেশ খেলে।