AIFF : চেয়ার আঁকড়ে পড়ে থাকার কোনও অধিকার নেই, চাপে প্রফুল্ল প্যাটেল

ক্ষমতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। তবুও রয়েছেন মসনদে। ইচ্ছা করে করা হচ্ছে না নির্বাচন। অভিযোগ সর্বভারতীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থার (AIFF) বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টে…

ক্ষমতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। তবুও রয়েছেন মসনদে। ইচ্ছা করে করা হচ্ছে না নির্বাচন। অভিযোগ সর্বভারতীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থার (AIFF) বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) চলছে সওয়াল জবাব। বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সব মিলিয়ে চাপে প্রফুল্ল পটেল অ্যান্ড কোম্পানি।

এক ক্রীড়া সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাহুল মেহরা। সর্বভারতীয় ফুটবল নিয়ামক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। রাহুলের দাবি, মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও এখনও ক্ষমতায় প্রফুল্ল পটেল এবং তাঁর কমিটি। যা ভারতীয় ফুটবলের আইন বিরুদ্ধ। স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ইচ্ছা করে ভোট করানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল।

ন্যাশনাল স্পোর্টস কোড, ২০১১ অনুযায়ী এআইএফএফ সভাপতি হিসেবে সর্বোচ্চ সময় কাটিয়েছেন প্রফুল্ল। বারো বছর হয়ে গিয়েছে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে। হিসেব অনুযায়ী ২০২০ সালে শেষ হয়েছে মেয়াদ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন করানো হচ্ছে না কেন? ফুটবল নিয়ামক সংস্থার তরফে সাফাই, সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা ঝুলে রয়েছে। সেটা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করানো সম্ভব হচ্ছে না।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বক্তব্য অনুযায়ী শেষবার নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ ভোটাভুটি ছাড়াই অতিরিক্ত চোদ্দো মাস ক্ষমতায় রয়েছে বর্তমান কমিটি। সভাপতি হিসেবে প্রফুল্ল পটেলের কার্যকালও শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক আগে।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রফুল্ল পটেলদের ভর্ৎসনা করা হলেও ফুটবল মহলের একাংশ ক্রীড়া মন্ত্রকে সাধুবাদ দিতে পারছে না। তাদের প্রশ্ন, এতোদিন পর বিষয়টা চোখে কেন্দ্রের ! চোদ্দো মাস কেন চুপ ছিল সরকার? সংস্থার ওপর আগেই চাপ বাড়ানো উচিৎ ছিল বলে একাংশের মত।