AIFF: ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত ফেডারেশনের

চলতি বছরে যথেষ্ট ছন্দে রয়েছে ভারতীয় ফুটবল দল। গত বছর নিজেদের দেশে একের পর শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিয়ে যে সূচনা করেছিল তা বর্তমানে অনেকটাই দূরে এগিয়ে নিয়ে এসেছে ব্লু টাইগার্সদের।

AIFF

চলতি বছরে যথেষ্ট ছন্দে রয়েছে ভারতীয় ফুটবল দল। গত বছর নিজেদের দেশে একের পর শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিয়ে যে সূচনা করেছিল তা বর্তমানে অনেকটাই দূরে এগিয়ে নিয়ে এসেছে ব্লু টাইগার্সদের। গত কয়েকমাস ইম্ফলের খুয়ান লাম্পাক স্টেডিয়ামে একের পর প্রতিপক্ষ দলকে পরাজিত করে ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট জিতেছিল ভারত।

তারপর শক্তিশালী লেবাননের মতো দেশকে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয় এবং শেষ ম্যাচে শক্তিশালী কুয়েত দলকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লাভ করে সুনীল ব্রিগেড। এক কথায় বলতে গেলে ভারতীয় ফুটবলের যেন নবজোয়ার দেখা দিয়েছে এবার। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্ৰহ দেখাতে শুরু করেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একাধিক ফুটবলার। কিন্তু দেশীয় সংবিধানকে সম্মান জানিয়ে তা যে এক প্রকার অনিশ্চিত তা কিন্তু বলাই চলে।

তবে এই নিয়েই এবার নয়া সিদ্ধান্ত উঠে এলো সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে। এই গোটা বিষয়টিকে খতিয়ে দেখায় জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেন এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে। যাদের প্রধান কাজ হল বিদেশের মাটিতে খেলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের পাশাপাশি ভারতের বিদেশি নাগরিক সম্পন্ন ফুটবলারদের নিয়ে একটি বিশেষ গবেষণা করা। যার নেতৃত্বে রয়েছেন পাঞ্জাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সমীর থাপার।

যতদূর জানা গিয়েছে, আগামী বছরের প্রথমদিকে এই গবেষণার রিপোর্ট পেশ করতে হবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কে। কিন্তু এর মাধ্যমে আদৌও কি জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের? নাকি অন্যকোন পন্থার প্রয়োগ করা হবে। সেই নিয়েই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

এই নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, আইন অনুসারে দেশের নাগরিক ছাড়া বিদেশে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলার কিংবা ভারতে থাকা বিদেশি ফুটবলাররা আমাদের দেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার সুযোগ পাবেননা। তবে আমরা আলোচনা করেছি। বর্তমানে গোটা বিষয়টিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোনোভাবে তাদের দলের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হয় সেই দিকেই নজর রাখা হচ্ছে।