pele: পেলের বিরুদ্ধে ড্র করেই ইস্টবেঙ্গলকে ফাইনালে হারিয়েছিল মোহনবাগান

১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে মোহনবাগান খেলেছিল কসমসের বিরুদ্ধে। সবুজ–মেরুনের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে (pele)।  শোনা যায় সেবার কসমসের বিরুদ্ধে খেলার আগে মোহনবাগানের…

pele mohunbagan

১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে মোহনবাগান খেলেছিল কসমসের বিরুদ্ধে। সবুজ–মেরুনের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে (pele)।  শোনা যায় সেবার কসমসের বিরুদ্ধে খেলার আগে মোহনবাগানের অবস্থা বেশ খারাপ যাচ্ছিল।

কিন্তু পেলে ম্যাচ ড্র করার পরই গোটা মোহনবাগান টিমের মানসিকতা সম্পূর্ণ বদলে যায়। ২–২ ম্যাচে কী দুর্দান্ত ফুটবলটাই না খেলেছিলেন শিবাজী ব্যানার্জি, সুব্রত ভট্টাচার্য, সুধীর কর্মকার, প্রসুন ব্যানার্জি, গৌতম সরকার, হাবিব, বিদেশ বসু, শ্যাম থাপারা। কসমস ম্যাচে যে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্যরা, তার জোরেই পাঁচদিন পর শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান।

   

যেদিন সব পথের শেষ হয়েছিল কলকাতার নন্দন কাননে এসে।সেবারই প্রথমবারের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে। এরপরেও এসেছেন এই শহর কলকাতায়, ২০১৫ সালের অক্টোবরে নিজের ৭৫ বছর বয়সে, দ্বিতীয় আই এস এল- এর প্রচারে ও ম্যাচ দেখতে। প্রথমবারের ৩৮ বছর পর।

বিজ্ঞানের জাদুকর টমাস আলভা এডিসনের নামে নাম রেখেছিলেন তার বাবা Edson Arantes do Nascimento। অবসর নিয়ে তখন তিনি শুধু খেলেন ন্যুয়র্কে’র কসমস ক্লাবের হয়ে। সেখানেও সেই বছরই শেষ, তাই পাকাপাকি ভাবে বুটজোড়া তুলে রাখার আগে সেই ক্লাবের হয়েই শ্রী ধীরেন দে’র ব্যবস্থাপনায় মোহনবাগানের সাথে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে এলেন।

সেবার কসমসের বিরুদ্ধে খেলার আগে মোহনবাগানের অবস্থা বেশ খারাপ যাচ্ছিল। কিন্তু পেলে ম্যাচ ড্র করার পরই গোটা সবুজ মেরুন টিমের মানসিকতা সম্পূর্ণ বদলে যায়। ২-২ ম্যাচে কী দুর্দান্ত ফুটবলটাই না খেলেছিলেন শিবাজী ব্যানার্জি, সুব্রত ভট্টাচার্য, সুধীর কর্মকার, প্রসুন ব্যানার্জি, গৌতম সরকার, হাবিব, বিদেশ বসু, শ্যাম থাপারা।

তখন ময়দানে দুটো কাগজ বেরুতো, মোহনবাগানের খেলার দিন ‘গড়ের মাঠ’ আর ইষ্টবেঙ্গলের দিন ‘অলিম্পিক’। দলবদল আর ক্লাব কেচ্ছা ছাড়া …. ঐ কাগজ গ্যালারীর কাঠে পেতে বসা আর রোদ ঠেকানোর কাজ-ও হতো। তা সেই ‘গড়ের মাঠে’ও লেখা হলো ওই ম্যাচ নিয়ে। ট্যাকটিক্সের কচকচি আর পেলের কথা।

পেলে-ম্যাচের আগের ক’দিন কলকাতায় প্রচণ্ড বৃষ্টি হলেও খেলার দিন হয়নি। ফলে ইডেনের ঘাসের নীচে জল জমে ছিল।সুবিধে পেয়ে গিয়েছিল গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। পেলে সহ কসমসের কারোরই ইডেন উদ্যানের ওইদিনের মাঠ পছন্দ হয়নি। প্রদর্শনী ম্যাচ তাই পেলে’ও তেমন গা লাগিয়ে না খেলাতে প্রশ্ন উঠেছিল যে, ইনস্যুয়োর্ড করা পদযুগলের জন্যেই কি গা লাগিয়ে মানে পা’ লাগিয়ে খেলেননি?..

গৌতম সরকারের উপর পেলেকে অকেজো করার দায়িত্ব ন্যস্ত করেছিলেন পি কে ব্যানার্জি। সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছিলেন গৌতম। তবে এর মধ্যেও একবার পেলে বল নিয়ে ঢুকে পড়লেন মোহনবাগান বক্সে। নিজের জীবনকে বাজি রেখে পেলের পায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে সে বল তুলে নিলেন শিবাজি ব্যানার্জি। অসাধারন খেলোয়াড়ি মনোভাবের পরিচয় দিলেন পেলেও।
শিবাজির উপর দিয়ে লাফ দিয়ে নিজে গোলের ভিতর ঢুকে গেলেন যাতে শিবাজি ব্যানার্জির আঘাত না লাগে।