আগের বছর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স না থাকলেও পরবর্তীতে যত সময় এগিয়েছে নিজেদের ছন্দে ফিরেছে জগন্নাথের রাজ্যের এই ফুটবল ক্লাব। যার দরুণ তারা গতবার একের পর এক দলকে পরাজিত করে পৌঁছে গিয়েছিল সুপার কাপের ফাইনালে। সেখান তারা পরাজিত করেছিল সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসিকে। সেই সুবাদেই দল পৌঁছে গিয়েছিল এএফসি কাপের (AFC Cup) মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে।
একের পর পর দলকে হারিয়ে তারা পৌঁছে যায় গ্ৰুপ পর্বে। সেখান থেকে অনবদ্য পারফরম্যান্স ধরে রেখে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে। পূর্বে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস দাপটের সাথে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও পরবর্তীতে ওডিশার কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু আজ প্রথম লেগের সেমিফাইনালে ধাক্কা খেল ওডিশা। যদিও দল নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী ওডিশা কোচ।
উল্লেখ্য, এএফসি কাপের অনবদ্য ছন্দ ধরে রাখার সুবাদেই আজ ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রালকোস্ট মেরিনার্সদের মুখোমুখি হয়েছিল ওডিশাকে। এবার এই অ্যাওয়ে ম্যাচেই জোর ধাক্কা খেতে হয়েছে রয় কৃষ্ণাদের। নির্ধারিত সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে তাদের পরাজিত হতে হয়েছে জেসান কামিন্সের এই প্রাক্তন ক্লাবের কাছে।
দলের হয়ে জোড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা মিকায়েল ডোকা। এছাড়াও গোল পান স্টর্ম রৌক্স এবং রোনাল্ড বার্সেলোস। বলতে গেলে ম্যাচের প্রথম দিকে ওডিশা দলের ফুটবলারদের কিছুটা সাবধান মনে হলেও সময় যত এগিয়েছে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামাল দিতে গিয়ে কার্যত দিশেহারা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আহমেদ জাহুদের। যারফলে, বিরাট বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হল বর্তমানে আইএসএলের শীর্ষে থাকা এই ফুটবল দলকে।
ম্যাচ শেষে সমর্থকদের ধৈর্য ধরার কথাই শোনা যায় দলের স্প্যানিশ কোচের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে মোহনবাগানের প্রসঙ্গ ও তুলে আনেন তিনি। লোবেরা বলেন, এএফসি কাপের প্রথমে আমরা মোহনবাগান দলের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিলাম। পরবর্তীতে তাদের ও পরাজিত করেছি। তাই আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। এক্ষেত্রে নিজেদের হোম ম্যাচে দর্শকদের সামনে সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে। অর্থাৎ এই ম্যাচের হতাশা ভুলে এবার ঘরের মাঠে বদলা নেওয়ার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন লোবেরা।