আমাজন নয় বিশ্বের ফুসফুস সমুদ্রের শ্যাওলা!

পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত অক্সিজেনের ৭০ শতাংশই সমুদ্রের নিচে উদ্ভিদগুলো তৈরি করে। তাই বলা যায় আমাদের নিশ্বাস নেওয়া সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের জলভাগের মাত্র ৫ শতাংশ…

Beneath the sea

পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত অক্সিজেনের ৭০ শতাংশই সমুদ্রের নিচে উদ্ভিদগুলো তৈরি করে। তাই বলা যায় আমাদের নিশ্বাস নেওয়া সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের জলভাগের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ আবিষ্কার করতে পেরেছে। এই বিশাল সমুদ্র জগতের বাকিটা এখনও মানবসভ্যতার কাছে অজানা।

ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অব মেরিন স্পিশিস জানায়, বর্তমানে সারাবিশ্বের সমুদ্রে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৮ ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী আছে। শুনতে অবাক লাগলেও আগ্নেয়গিরির ৯০ শতাংশেরই উৎপত্তিস্থল সমুদ্র। পৃথিবীর ৭০ ভাগের বেশিই সমুদ্র দিয়ে বেষ্টিত বৃহত্তম ৫টি মহাসাগর আছে। প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক, ভারত মহাসাগর, আর্কটিক মহাসাগর এবং দক্ষিণ মহাসাগর।

   

পৃথিবীর ৩০০ কোটি মানুষ জীবন ও জীবিকার জন্য সরাসরি সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীর ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ জীব সমুদ্র ধারণ করে। অথচ পৃথিবীর চারপাশ বেষ্টিত সমুদ্রের মাত্র ১ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়। সাম্প্রতিক সমুদ্রে ক্ষতিকর উদ্ভিদ জন্ম নিচ্ছে। বিপুল পরিমাণে মাছ মরতে পারে, সামুদ্রিক খাবারগুলো বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।

পুরো সমুদ্র জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীতে সূর্য থেকে আসা আলোকরশ্মি, পৃথিবীর কার্বন ডাইঅক্সাইড সমুদ্রই হজম করে নিচ্ছে। কিন্তু কার্বন ডাইঅক্সাইড দিন দিন বাড়তে থাকায় সমুদ্রের জল আরও অ্যাসিডিক হয়ে যাচ্ছে। বাস্তুসংস্থানের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে সমুদ্র, পৃথিবীর ফুসফুসও বলা যেতে পারে সমুদ্রকে।