HomeScience NewsDry Winter: হিমালয়-হিন্দুকুশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাতহীন শীত! হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা অন্যত্র

Dry Winter: হিমালয়-হিন্দুকুশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাতহীন শীত! হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা অন্যত্র

- Advertisement -

পশ্চিমবঙ্গে এখন হাঁড় কাঁপানো ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে। শুধু বঙ্গ নয়, কাঁপছে দিল্লি থেকে দার্জিলিং। কোথাও তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি তো কোথাও -৩। তবে অবাক করা কাণ্ড! হিমালয় (Himalayas) অঞ্চলে কিন্তু অনুভবটি ভিন্ন। কারণ তুষারপাত হচ্ছে না। আগে এমনটা কখনও হয়নি। শীতল অঞ্চলে বরফই পড়ল না এই বছর? বিশ্ব উষ্ণ হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনই এর জন্য দায়ী বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। শুধু তুষারপাতের ফ্রিকোয়েন্সিই নয়, পাহাড়ে ঠান্ডা দিনের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে এবং দিন ও রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এমনটা হচ্ছে।

হিন্দুকুশের উদ্বেগজনক পরিণতি

   

আফগানিস্তান-পাকিস্তান ও ভারতের অংশে ছড়িয়ে থাকা হিন্দুকুশের ভারতীয় অঞ্চলের তুষারপাত হয়নি। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের এমন পরিণতিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। যদিও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে এই মাসের শেষ নাগাদ কিছু ভাল তুষারপাত হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ২০২৪ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এটি একটি শুষ্ক শীত (dry winter) ছিল এবং এই শীত মৌসুমে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নভেম্বরে বৃষ্টির ৮০% ঘাটতি ছিল, ডিসেম্বরে ৭৯ % এবং জানুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত ১০০% ঘাটতি দেখা গেছে।

হিন্দুকুশ হিমালয় অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট অনুসারে, গবেষণায় দেখা গেছে যে হিমালয়ের উষ্ণতা গত ১০০ বছরে বিশ্বব্যাপী গড় ০.৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে অনেক বেশি। গবেষণা অনুসারে, এই অঞ্চলে হিমবাহের রিট্রিটকে দায়ী করা হয় “তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাত হ্রাসের। জলবায়ু উষ্ণায়ন এবং শুকিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকলে হিমবাহের সংকোচনের গতি বাড়বে।”

Ski station in Gulmarg

শ্রীনগরের আইএমডি সেন্টারের প্রধান মুখতার আহমেদ ব্জানিয়েছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আমরা আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে কিছু তুষারপাতের আশা করতে পারি। গত বছরগুলিতে শীতের সময়কাল হ্রাস পেয়েছে। আগে জম্মু ও কাশ্মীরে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতকাল ছিল, কিন্তু এখন এটি ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে সীমাবদ্ধ। এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন যা বিশ্বজুড়ে প্রত্যক্ষ করা হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের প্রকৃতিও পরিবর্তন হচ্ছে যা আগে তুষার আকারে ছিল। তুষারপাতও কমে গেছে।”

হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডেও একই রকম পরিস্থিতি দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক স্কি প্রতিযোগিতার জন্য পরিচিত বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্যগুলি তুষারপাতের তীব্র অভাব অনুভব করছে। অন্নপূর্ণা রেঞ্জের উচ্চতর এলাকায়ও একই রকম গল্প বলার আছে। মনে করা হচ্ছে হিমালয় ক্রায়োস্ফিয়ার একটি বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

স্কাইমেট ওয়েদারের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহেশ পালাওয়াত বলেছেন “এখনও পর্যন্ত ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ী অঞ্চলে খুব হালকা তুষারপাত হয়েছে। এটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটের দুর্বল তীব্রতার কারণে। গত মরসুমেও তুষারপাত দেরিতে হয়েছিল, এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল, ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে,”

এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দৃশ্যমান ইঙ্গিত হল শুষ্ক শীত এবং জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশে তুষারপাতহীন শীত!

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular