দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হলেন বাগদার মধুপর্ণা ঠাকুর

বাগদা বিধানসভা থেকে জিতে রেকর্ড গড়লেন মধুপর্ণা ঠাকুর (Madhuparna Thakur)। কনিষ্ঠতম বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় যাচ্ছেন তিনি। মাত্র ২৫ বছর ১ মাস বয়সে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় যাচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা। এর আগে এই রেকর্ড তৃণমূলের প্রয়াত বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দখলে ছিল। ২৬ বছরে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।

Advertisements

৩০ হাজারের বেশি ভোটে বাগদা থেকে জয়ী হয়েছে মধুপর্ণা। হারিয়েছেন বিজেপির বিনয়কুমার বিশ্বাস। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত মধুপর্ণা ঠাকুর বলেন, বিজেপি মানুষকে ভুল বুঝিয়েছিল। সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন, দিদি ছাড়া কিছু হবে না। এটা দিদির জয়। মানুষকে উৎসাহ দেখে বুঝেছিলাম, বাগদায় আমিই জিতব। মানুষের পাশে থাকব।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগরের পিআর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক মধুপর্ণা। এখন তিনি এমএসসি পড়ছেন। ঠাকুরবাড়ি হোক বা মতুয়া আন্দোলন সবেতেই নতুন মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন মধুপর্ণা। আর তাই-ই তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে উপনির্বাচনের টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

শুভেন্দু-দিলীপ নয়, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে বিরাট চমক, জানলেই চমকাবেন

Advertisements

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কনট্রাকচ্যুয়াল পোস্টে কাজ করেন মধুপর্ণা। এই ডেটা-এন্ট্রি অপারেটরের চাকরিতে নিয়োগ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও মমতার দাবি, মধুপর্ণা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেন।

একুশের নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্র থেকে জয় পান বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। চব্বিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে বাগদা বিধানসভায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট – ১১২৭০৪। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ৯২০৯০ ভোট। আর আইএসএফের দখলে গিয়েছে ১৮১১ ভোট। অর্থাৎ, এই কেন্দ্রে বিজেপির লিড ছিল ২০ হাজারেরও বেশি।

বিজেপির এই তারকা সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে হলেই আনতে হবে আধার কার্ড!