শিথিলতা ও নিষেধাজ্ঞা মিলিয়েই চলছে নির্বাচনী প্রচার

ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে চতুর্থ দফায় জনসভা, মিছিল, সাইকেল বা বাইক শোভাযাত্রা, রোড-শোর উপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় এই নিষেধাজ্ঞা…

election

ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে চতুর্থ দফায় জনসভা, মিছিল, সাইকেল বা বাইক শোভাযাত্রা, রোড-শোর উপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই নির্দিষ্ট দিনের পর কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে নজর ছিল সব রাজনৈতিক দলের।

বিষয়টি নিয়ে এদিন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কমিশনের ফুলবেঞ্চ। তারপরই কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে সংক্রমণ এখনও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই নির্বাচনের আগে জনসভা, পথসভা, মিছিল, রোড-শো কোনও কিছুই করা যাবে না। পাঁচ রাজ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ভোট নেওয়া হবে। কিন্তু ভোট গ্রহণের আগে কোনও রাজনৈতিক দলই মিটিং-মিছিল, রোড,-শো, বাইক-শো, জনসভা করতে পারবে না। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

উল্লেখ্য, প্রথম দফায় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তার পর তা বাড়িয়ে করা হয় ২২ জানুয়ারি। তৃতীয় দফায় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। চতুর্থ দফায় সেই মেয়াদ ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল।
নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ান হলেও কমিশন ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির দাবির কথা মাথায় রেখে কিছু ছাড় দিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি সর্বোচ্চ ১০০০ হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল বা সভা করতে পারবে। এই জনসভা করতে হবে খোলা জায়গায়। কোনও ঘরোয়া বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ৫০০ জন মানুষ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে অংশ নিতে পারবেন ২০ জন। যার মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীরাও অন্তর্ভুক্ত। এতদিন এই সংখ্যাটা ছিল ১০।

এদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কমিশনের সদস্যরা প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে নেন। এদিন নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষে স্বস্তিজনক বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ করোনার কারণে এবং নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রায় কোনও প্রচার ছাড়াই ভোটে লড়তে হচ্ছিল। ফলে তারা মনে করছিল, জনসংযোগের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। কমিশন কিছুটা শিথিলতা দেওয়ায় এবার তারা জনসংযোগ ও প্রচারের কাজ করতে পারবে।