চলতি অর্থবর্ষে কমতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার

চলতি বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯.২ শতাংশ হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছিল ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিস। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা আর্থিক সমীক্ষা বলছে আগামী বছর…

চলতি বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯.২ শতাংশ হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছিল ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিস। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা আর্থিক সমীক্ষা বলছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে হবে ৮ থেকে ৮.৫০ শতাংশ।

মঙ্গলবার সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার আগে এদিন তিনি সংসদে পেশ করা হয় আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে অর্থমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে ৮.৫০ শতাংশে নেমে আসবে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধির প্রকৃত হার ছিল ৭.৩ শতাংশ।

২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সরকার জিডিপি বৃদ্ধির হার ৮.৫০ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। করোনাজনিত কারণে গোটা বিশ্বের সঙ্গেই ভারতের অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্প্রতি সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে ক্রমশ ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে অর্থনীতি। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা অনেকেই ভেবেছিলেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তাতে সেই আশার উপর কার্যত জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে সর্বোচ্চ ৮.৫০ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশে মুদ্রাস্ফীতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক জায়গায় চলে গিয়েছে। বেড়েছে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। ফলে দেশের ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলি বড় মাপের ক্ষতির মুখে পড়েছে।

বিভিন্ন শিল্প সংস্থাকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বেশকিছু আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। কারণ মানুষের হাতে ঢাকা এলে দেশের বাজারে চাহিদা তৈরি হবে। চাহিদা বৃদ্ধি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারে।